| বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তার বিরুদ্ধে ৯ ধরনের ১৮টি অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির দিন আগামী ২৭ নভেম্বর ধার্য করেন।
গত রোববার রাষ্ট্রপক্ষ সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ৯ ধরনের ১৮টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করে তা আমলে নেওয়ার আবেদন জানায়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
রোববার প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ৭০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম।
তদন্তের স্বার্থে গত ১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ কায়সারের ঢাকার বাসায় গিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্ত সংস্থা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৫ মে প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ২১ মে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ৫ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে তিনি জামিন পান, এরপর থেকে সৈয়দ কায়সার রাজধানীতে ছেলের বাসায় রয়েছেন।
১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কায়সার। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন ও দলের হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি হন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন কায়সার।
১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
Posted ২০:৩১ | বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin