
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : ট্রেনের টিকিট বিক্রির অনলাইন সেবা (ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ) বন্ধ রয়েছে গতরাত থেকে। একইসঙ্গে কাউন্টারেও বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি। এতে করে টিকিটপ্রত্যাশীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
ট্রেনের টিকিট বিক্রির কাউন্টার সফটওয়্যার বন্ধ থাকায় কাউন্টার থেকে শুধুমাত্র ব্ল্যাক পেপার টিকিট (বিপিটি) দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আন্তঃনগর ট্রেনের কোনো আসন দেওয়া হচ্ছে না।
কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, আজ শুধুমাত্র হাতে লেখা টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কোন সিট আছে কিনা সেটি দেখার সুযোগ নেই। তারা শুধু স্ট্যান্ডিং টিকিট দিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, নানা মন্তব্য করছেন ট্রেনপ্রেমীরা। আলমগীর হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই লং টাইম সহজের অ্যাপ, সাইট বন্ধ। ভোগান্তির একটা সীমা তো থাকা চাই।
রিয়াদুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলি যেকোন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে যেখানে জনসাধারন সরাসরি জড়িত, যেকোনো ধরনের সিস্টেম আপগ্রেডেশান করতে হলে আগাম নোটিশ দিতে হয়। সহজ.কম কোন হিসাবে কোনো ধরণের ঘোষণা ছাড়া সিস্টেম আপগ্রেডেশানের কাজ করে লম্বা সময় ধরে কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়া? রেল কি বিষয়টা জানতো? না জানলে সহজ থেকে জবাবদিহিতা চাওয়া উচিত। রেল মন্ত্রণালয়েরও উচিত রেলের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ এবং সহজ থেকে যথাযথ ব্যাখ্যা চাওয়া। কিছু সময় আগে সহজের জবাবটা একেবারেই দায়সারা মনে হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, গতকাল রাতে টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটের সার্ভার স্লো হয়ে গিয়েছিল। সেটা ঠিক করতে গিয়ে পুরোটা একসঙ্গে শাটডাউন হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন আমাদের প্রিন্টেড টিকিট দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছি। যদিও আমাদের সব টিকিট অ্যাডভান্স বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল রাত থেকে এটি ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা আমাদের জানিয়েছে আজ দুপুরের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি।
Posted ০৮:০১ | শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain