ইতোমধ্যে শিশুদের ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন গুঁড়া দুধ খেলে পরবর্তীতে শিশুদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আসলেই কি তাই? এটি সত্য নাকি মিথ?
গুঁড়ো দুধ কি শিশুর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়?
সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদের টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে ছোটবেলার খাদ্যাভ্যাস। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশিক্ষক ইশা লাল জানিয়েছেন, কয়েকটি গবেষণায় এ-ও বলা হয়েছে যে, শিশুদের গুঁড়ো দুধে চিনি থাকে। বিশেষ করে যেসব গুঁড়ো দুধ শিশুদের পছন্দের স্বাদের কথা ভেবে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়, তাতে চিনির পরিমাণ থাকে বেশি। খুব ছোট বেলায় নিয়মিত চিনি খাওয়া শুরু হলে তা শরীরে ইনস্যুলিন প্রতিরোধ বাড়িয়ে দিতে পারে। যা থেকে পরবর্তীতে টাইপ টু ডায়াবেটিস হতেও পারে।
গুঁড়ো দুধ কি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর?
বিশেষজ্ঞের মতে, শিশুদের গুঁড়ো দুধ আদতে সাধারণ দুধকেই বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে নেওয়া। ওই প্রক্রিয়ায় দুধের ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের মতো উপাদানও যথাযথভাবে বজায় থাকে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কিছু ক্ষতিও হয়। যেমন দুধে থাকা লিপাসে নামের একটি এনজাইম নষ্ট হয়ে যায় এতে। ওই এনজাইম দুধে থাকা ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে।
কিছু কিছু গবেষণা অনুযায়ী, দুধকে প্রক্রিয়াজাত করার পরে তাতে অক্সিডাইজড কোলেস্টেরল তৈরি হয়েছে। যা থেকে পরবর্তীতে প্রদাহ জনিত এবং হার্টের সমস্যা হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুঁড়ো দুধ শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর না হলেও তাজা দুধের মতো উপকারীও নয়।
দুধের বদলে শিশুদের কী খেতে দিবেন?
শিশুকে গুঁড়ো দুধের বদলে বিকল্প খাবার দিতে পারেন। গরুর দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। শিশু যদি ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্ট হয় অর্থাৎ দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকে তবে বাড়িতে তৈরি আমন্ড মিল্ক, ওট মিল্ক, নারকেলের দুধ দেওয়া যেতে পারে।
তবে শিশু গরুর দুধ খেতে না পারলে উপযুক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া, রাগিতেও ক্যালসিয়াম আছে। শিশুদের রাগির বার্লি খাওয়ানো যেতে পারে। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম