নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক : মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আর যদি আমার কোনো ভাই বা কোনো বোন আমাদের ওই সীমান্তে তাঁরকাটায় লাশ ঝুলে থাকে, তাহলে কাঁটাতারকে লক্ষ্য করে আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মতো লং মার্চ করা হবে। আর যদি পরবর্তীতে আমাদের সেই মার্চ তাঁরকাটাকে উদ্দেশ্যে করে হয়, তাহলে আমাদের লক্ষ্য তাঁরকাটাকে ভেদ করে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তাঁরকাটা দেয়ার নামে জোড় করে বাঁধা দেয়ার জন্য যে প্রয়াস, তা রুখে দেয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুত্থান হয়েছে এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চায় না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র-জনতা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নিবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হোন তাহলে তাদের পরিণতি খুনি হাসিনার মতো হবে।
লং মার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও কুড়িগ্রামের চরের জীবন-জীবিকা উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান সারজিস আলম।
লং মার্চটি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামের জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়। লং মার্চ শেষ হবে কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে।
লং মার্চে আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও লং মার্চে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
লং মার্চ শেষে নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ১০:০৮ | বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain