নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ক আয়োজিত সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের আগস্টের ২৫ আগস্ট তারিখ থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এর আগে থেকেই অন্তত তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। কবে নাগাদ তারা নিজেদের বাসভূমি রাখাইনে ফেরত যেতে পারবে সেটি এখনও অনিশ্চিত।
রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের বাঙালিরাই এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, অপরাধ বাড়ছে। ক্যাম্পগুলো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীর আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আমার গ্রামের বাড়ি। কিন্তু সেখানেও রোহিঙ্গারা চলে এসেছে।
বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যেই বাংলাদেশ দুই মিলিয়ন রোহিঙ্গার দায়িত্ব নিয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই। তবে চীন ও ভারত চেষ্টা করছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার দায়িত্বশীলের মতো কাজ করছে না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকজন করে রোহিঙ্গা দেশে নিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কূটুনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। সেখানে বেশ খানিকটা অগ্রগতিও হয়েছে। সরকার মনে করে এই মানবিক সমস্যার সমাধান খুবই জরুরি।
ব্রিকসের বাংলাদেশের সদস্য পদ না পাওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ব্রিকসে নেওয়া হয়েছে। সদস্য পদ না হওয়া কোনো বিষয় না। ব্রিকসে পর্যায়ক্রমে আমন্ত্রিত দেশগুলোকে সদস্য পদ দেওয়া হবে।
Posted ১০:২৮ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain