নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির অনেক নেতা এখন মায়া কান্না করেন, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। আবার বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন আজ। আমার প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন তারা কোথায় ছিলেন, আর কোথায় ছিল তাদের মানবাধিকার?
আজ বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কিছু জ্ঞানপাপী ব্যক্তি বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জাতি গঠনে তার অবদান নিয়ে অপপ্রচার করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের সেগুলো শুনতে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটি সমার্থক শব্দ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি, স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি। এই ভাষণের মধ্যেই মূলত একটি জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। আর তাদেরকে সহায়তা করেছে খুনী জিয়া। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের গ্রেফেতার না করে উল্টো পুরস্কৃত করেছেন, চাকরি দিয়েছেন বিভিন্ন দূতাবাসে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানে ছিল, যে যার ধর্ম কোনো বাধা ছাড়াই পালন করতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু হাজীদের জন্য তৎকালীন সময়ে অনেক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখন আমাদের সবার ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যেতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দিন।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেফ্তাহুল হাসান। পাঠকৃত প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন জবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া।
পাশাপাশি বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
Posted ১১:৩৯ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain