দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ড্রোনটি ইরান থেকে উড়ে গিয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।
ইরানের এই ড্রোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপারের আদলে বানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও দেখানো হয়, তাতে ড্রোনটি অজ্ঞাত একটি বিমানঘাঁটির ওপর দিয়ে উড়ে ভিডিও ধারণ করেছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বোমা ও রাডার-প্রতিরোধী সরঞ্জাম বহন করতে পারে মোহাজের-১০। সেই সঙ্গে এটি নজরদারিতে সক্ষম।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে দাবি করেছে, গত শতকের আশির দশকে যখন ইরাক-ইরান যুদ্ধ চলছিল, তখন এই ড্রোনের প্রথম সংস্করণটি তৈরি করেছিল তেহরান। সর্বশেষ সংস্করণ মোহাজের-১০ প্রায় ৩০০ কেজি ওয়ারহেড বা যুদ্ধসরঞ্জাম বহন করতে পারে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার বা ১৩০ মাইল গতিতে উড়তে পারে। এমনকি বহন করতে পারে ৪৫০ লিটার বা ১২০ গ্যালন জ্বালানি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাজের-১০ প্রায় ৭ হাজার মিটার ওপর দিয়ে বিরতিহীনভাবে ২ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করতে পারে। এর অর্থ হলো, ড্রোনটি ইরান থেকে উড়ে গিয়ে ইসরায়েলের যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।