প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিরপুরে পদযাত্রা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দিনের বেলায় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করার ফন্দি এটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার থেকে মিরপুর ১২ নাম্বার বাসস্ট্যান্ড থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এটি শেষ হয়ে ১০ নাম্বার গোল চত্ত্বরে গিয়ে।
সমাবেশে ঢাকা-১৭ আসনে কারচুপি হয়েছে ইঙ্গিত করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দিনের বেলায় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করার ফন্দি এটেছে। তার একটা রিহার্রসেল আমরা গতকাল দেখলাম। যে নির্বাচনের কোনো তাৎপর্য নাই, যে নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল নাই। সেই নির্বাচনে তারা জয় লাভ করতে পারে না। তাদের ভোট কাটতে হয়। আওয়ামী লীগের দেউলিয়াপনা এই জায়গায় এসে ঠেকেছে।
ঢাকা-১৭ আসনের ভোট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন হিরো আলমের সঙ্গে যা যা হয়েছে, এসব কিছু থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা প্রকাশিত। পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন ভোট সুষ্ঠু না হলে তিনি নাকে খত দিয়ে চলে যাবেন। এই নাকে খত আমরা কবে দেখবো। মানুষ ফেসবুকে লেখছে পুলিশ কমিশনারের নাকে খত আমরা দেখতে চাই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় পদযাত্রার আগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করতে চাই। আমাদের বাধা দিলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার পরিচয় জানতে চাইনা। তিনি একজন ক্যান্ডিডেট। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন ছিল। বিকাল ৩টা বাজে তার ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। যখন একজন প্রার্থীর ওপর হামলা হয়, সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। ওই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নাই। এই সরকারের আমলে কোনো মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নাই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের কোন মিথ্যা কথায় আমরা আর ভুলছি না। আমরা আমাদের লড়াই চালাবো। আমাদের একটাই কথা এই সরকার বদলাতে হবে।
পদযাত্রায় অংশ নেয় গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, নাগরিক ঐক্য দলের নেতাকর্মীরা।
