নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
বর্ষাকালে বৃষ্টির পর পুঁটি মাছ যেভাবে লাফালাফি করে, বিএনপি সেভাবে লাফালাফি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, আজ রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি, তারা কয়েকদিন আগেও সংসদে ছিল। তারা আজ যেভাবে লাফালাফি করছে। আমি গ্রামের এমপি। এখানে (সংসদে) বেশিরভাগ গ্রামের এমপি। শহরের এমপি কিছু আছে। গ্রামে যখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হয় পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। পুকুরের মধ্যে পুঁটি মাছ খুব লাফালাফি করে। আজ বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে বর্ষাকালে পুঁটি মাছের প্রথম লাফালাফির মতো।
তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গলা দেখি আগের চেয়েও চড়া হয়ে গেছে। যখন বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়, চারদিক ডুবে যায়। তখন কোলাব্যাঙের আওয়াজ খুব বেড়ে যায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আওয়াজটা কোলাব্যাঙের আওয়াজ মনে হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সংসদ সদস্য চিঠি লিখলেন। বাংলাদেশের কাছে নয়, তাদের আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারের কাছে। সেখানে ৭০৫ জন সদস্য, তার মধ্যে ৫ জন সদস্য চিঠি লিখলেন। এটা নিয়ে তাদের (বিএনপি) মধ্যে পুলকিত ভাব। কেউ কেউ পুলকিত ভাব প্রকাশ করছেন। এই চিঠির কোনো অর্থ নেই, মূল্য নেই। অন্য কোনো দেশ হলে পত্রিকায় এ চিঠি ছাপাতো না। আমাদের দেশে সেটি ছাপিয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার আরও বলেন, ৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যানের মধ্যে পাঁচজন চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের কাছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। বাংলাদেশের সব সংখ্যালঘু সংগঠন এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আর্চবিশপ বিবৃতি দিয়েছেন, বলেছেন এ চিঠি বাস্তবতা বিবর্জিত। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। আমরা বরং আতঙ্কিত আছি মৌলবাদী শক্তি আবার যদি ক্ষমতা নেয় তখন আমাদের কী হবে। তাদের বিবৃতি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ এসেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, যখন হোয়াইট হাউজের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হলো, তারা বলে চিঠি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এ চিঠি সম্পর্কে জো বাইডেনের দপ্তর হোয়াইট হাউজ কিছু জানে না। বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকা জানে, আর জানে বিএনপির মহাসচিব, আর বিএনপির নেতারা। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা একটা চিঠি আনায়। আমাদের কাছেও দেয় না। সে চিঠি তাদের ইন্টারনাল চিঠি, তা এনে পুলকিত ভাব করে।
তথ্য ও সম্প্রচার বলেন, ব্রিটেন সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, আমরা আপনাকে বহু বছর ধরে দেখে আসছি। অর্থনৈতিক নেতৃত্বে সফল আপনি আমাদের এবং আমার সন্তানদের জন্য প্রেরণাস্বরূপ। একইভাবে প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল- আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমুখ।
Posted ০৮:৩৩ | বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain