নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
দশ বছর পর হঠাৎ করে ঢাকায় বড় সমাবেশের মাধ্যমে রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সরকারি অনুমতি নিয়ে গত ১০ জুন ঢাকায় প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে দলটি। এই সমাবেশের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। সরকারের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
জামায়াত ইস্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন বিএনপির আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, জামায়াতকে ১০ বছর পর মাঠে দেখতে পারাটা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক স্পষ্ট করে বলেছেন— এটা আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক কারণেই অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। জামায়াতের ব্যাপক সমর্থন আছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন। সামনে আরও কিছু দেখবেন। আরও অনেক কিছু হবে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ১০ জুন জাতীয় পার্টির সমাবেশ সরিয়ে তাদের জায়গা দেয়া হয়। এটা করা হচ্ছে নির্বাচনের কিছু দিন আগে। তা হলে নিশ্চয় বুঝতে আর বাকি নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথা খুব পরিষ্কার যে, এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন নয়। এ ক্ষেত্রে সরকার জামায়াতকে কাজে লাগাতে চায়। যদি জামায়াতকে নির্বাচনে অংশ নেয়াতে পারে তা হলে কয়েকটি বিষয়ে সরকার লাভবান হবে। প্রথমটি হচ্ছে, এ নির্বাচনটিকে অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি ভারতকে এই বার্তা দেবে যে, তোমরা যদি আমাকে (সরকার) যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্ব থেকে রক্ষা না করো, তা হলে এ দেশে ইসলামি দল ক্ষমতায় আসবে।
জামায়াত বর্তমান অবস্থানে বিএনপি কী বিপাকে পড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি বিপাকে পড়ছে না। তার কারণ হলো জামায়াতের প্রতিটা দাবির সঙ্গে বিএনপির দাবির মিল রয়েছে। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। আমি বলব, এ দাবিগুলো বাম থেকে আসলে যেমন আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে, ঠিক তেমনি ডানপন্থি দলগুলো থেকে আসলে আমাদেরকে শক্তিশালী করে। আমাদের দাবির সঙ্গে যেহেতু অন্যদলগুলো একমত হচ্ছে, এতে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা ফুটে ওঠে।
রুমিন বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই জামায়াতকে নিয়ে পুরোটা সময় আওয়ামী লীগ খেলেছে। জামায়াত কিন্তু আওয়ামী লীগের পুরনো বন্ধু। ১৯৮৬ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে শুরু করে যুগপৎ আন্দোলনেও তাদের সম্পর্ক বহু পুরনো। মাঝখানে আওয়ামী লীরেগ সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক টানাপোড়েন হওয়ায় বিএনপির সঙ্গে যোগ দেয়। এর পর থেকেই আওয়ামী লীগের কাছে জামায়াত খারাপ হলো।
Posted ১৭:২৪ | বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain