সম্প্রতি নিজের কফি টেবিল বই ‘মাই লাইফ ইন ডিজাইন’-এর উদ্বোধনে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খান দম্পতি। কালো পোশাকে এসেছিলেন অন্দরসজ্জাশিল্পী ও বইয়ের লেখিকা গৌরি খান, সঙ্গে ছিলেন শাহরুখ খান। এই অনুষ্ঠান যে তাকে ঘিরে নয়, তা বুঝতে খুব একটা সময় লাগেনি শাহরুখের। স্ত্রী গৌরি খান এমনিতেই তার নয়নের মণি, তাই তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিতে কোনও খামতিও রাখেননি বলিউডের বাদশা। অন্দরসজ্জাশিল্পী হিসেবে গৌরি যে অনবদ্য, সে কথা এর আগেও একাধিকবার বলেছেন শাহরুখ। তবে এই অনুষ্ঠানে শাহরুখের স্বীকারোক্তি, বাড়িতে নাকি গৌরির মধ্যেই শিল্পীসত্তা সব থেকে বেশি। একদিকে স্ত্রীর সাফল্য উদযাপন করতে এসে তার অঢেল প্রশংসা স্বামীর মুখে। তবে অন্যদিকে, শাহরুখের উপর কিন্তু বেশ বিরক্ত গৌরি খান। যার প্রমাণ মিলল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে।
ভিডিওতে নামজাদা সঞ্চালিকা সিমি গেরওয়াল গৌরিকে প্রশ্ন করেন, “শাহরুখ কি আপনার উপর একটু বেশিই অধিকার ফলান?’’ গৌরি একটু সামলে উত্তর দিলেও শাহরুখ বলেন, “আমি আগে খুবই অধিকার ফলাতাম। আমার স্বভাব মোটেই সুবিধার ছিল না।”
শাহরুখের এই স্বীকারোক্তির সুর টেনে গৌরিও বলতে শুরু করেন, ‘“অত্যন্ত নোংরাভাবে অধিকার ফলাত শাহরুখ আমার উপরে। এটা একটা অসুখের মতো ছিল।”
এমনকি, গৌরিকে নাকি সাদা পোশাকও পরতে দিতেন না শাহরুখ। কারণ, তিনি মনে করতেন, তাতে তার প্রেমিকার চেহারা স্পষ্ট বোঝা যাবে। নিজের এই স্বভাবের কথা স্বীকার করে শাহরুখও বলেন, “আমার একটা নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা ছিল, এবং সেটা খুব নিকৃষ্টমানের স্বভাবে পরিণত হয়েছিল।”
শাহরুখের এই ‘বিরক্তিকর’ স্বভাব নিয়ে আলোচনা করার সময় অবশ্য নিজে বিরক্ত হননি গৌরি খান। বরং হাসিমুখেই নিজের সব অভিযোগ জানাচ্ছিলেন বাদশা-পত্নী।
কিশোর বয়স থেকে একে অপরকে চেনেন শাহরুখ ও গৌরি। সেই ছোট বয়স থেকেই বন্ধুত্ব, প্রেম। দু’জনে যখন গাঁটছড়া বাঁধেন তখন শাহরুখের বয়স ২৫, গৌরি মাত্র ২১ বছর বয়সের তরুণী। বিয়ের ৩২ বছর পরে মানুষ হিসেবে অনেক পরিণত তারা। সম্পর্ক পোক্ত যেমন হয়েছে, তেমনই বদলেছে সমীকরণও। নিজেদের খামতি শুধরে একে অপরের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন তারা। বিয়ের তিন দশক পরেও তাই প্রেম অমিলন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই জুটির।