নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পেয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঠেকাতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিদেশ সফর শুরু করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন কি না তা ভেবে দেখতে পারেন। আপনার অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিত এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি আয়োজন করে ইয়ুথ ফোরাম।
দুদু বলেন, দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সকল পেশাজীবী সংগঠনের স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হয় না, এমনকি মসজিদ কমিটির নির্বাচনেও দলীয়করণ হয়।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। সরকারের বাইরে কোনো পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া নেই। সম্প্রতি দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার আগে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছিল, দিগন্ত টেলিভিশন ও চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, খালেদা জিয়া হচ্ছেন বিশ্ব গণতন্ত্রের প্রতীক। বলা হয় ‘বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে’। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- যে টাকার কথা বলা হয়েছে সেই টাকা বিদেশ থেকে এতিমের টাকা হিসেবে আসেনি। জিয়ার নামে প্রতিষ্ঠান করার জন্য কুয়েতি সরকার টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা এখন ব্যাংকে কয়েকগুন হয়েছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬-১৭ বছর দেশে থাকেন না। আইন করে তার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। তার বক্তব্য সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। তার মুখোমুখি হওয়ার সাহসও সরকারের নেই। তার নামে সরকার আতঙ্কিত। আসলে আপনার দেশে থাকবেন কীভাবে, কী করবেন, কীভাবে চলবেন? শুধু এই আতঙ্ক থেকেই তারেক রহমানকে কোণঠাসা করে ও বিদেশ থাকতে বাধ্য করছেন।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, তারেক রহমানের স্ত্রী হওয়ার কারণে ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু মামলা নয়, এমন কোনো কুৎসা নেই, যা আপনারা তার বিরুদ্ধে রটাননি।
কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই আইনটা আপনারা পরিবর্তন করেছেন। ৯০‘র গণভোটের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল এদেশের মানুষ। প্রয়োজনে আবারও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেশের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস নেই।
কৃষকদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) বলছেন- বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবেন না, কিন্তু বিএনপি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবে তো? কোথায় পেয়েছেন যে বিএনপি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শুধু বিএনপি নয়, কোনো বিরোধী দলই প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না।
বাংলাদেশ ইয়োথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়াতাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন বাদশা, মৎসজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও ‘দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
Posted ০৯:৪৯ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain