নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সরকারের দুর্নীতির কারণে জনগণের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে বাংলাদেশ এখন প্রায় ধ্বংস রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পতিত হচ্ছে। তাদের দুর্নীতির কারণে আজকে জনগণের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে।
আজ (৩ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছছে দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ব্যাংকগুলো পুরোপুরিভাবে খালি করে দেওয়াসহ দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়ে অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত সবকিছুতেই একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের ন্যূনতম যে অধিকার- ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার; তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অধিকারগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা আবারও প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেটা তারা করতে চেয়েছিল ১৯৭৫ সালে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে সেই দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যারা আমাদের সহযোগিতা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আজকে কর্নেল অলি আহমেদ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন। আজকের আলোচনা আমাদের শেষ নয়। আবার তার দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদের বলেন, এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না দাবি করে অলি আহমদ বলেন, সাংবাদিকরাও লিখতে পারে না, কারণ আইন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশকে স্বাধীনতা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং তারা ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।
আওয়ামী লীগ কোনভাবে একটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে দাবি করে কর্নেল অলি বলেন, আমরা চাই এ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। এই দাবিগুলো নিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগও আন্দোলন করছে, এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। এটা আওয়ামী লীগের পক্ষে অস্বীকার করার সুযোগ নেই, কারণ একদিন তাদের দাবিও এটা ছিল।
Posted ০৯:৪৩ | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain