নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেও অংশগ্রহণ করতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যদি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটি তাদের জন্য মঙ্গলজনক, গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক।
আজ (১০ এপ্রিল) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীএ মন্তব্য করে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সিটি করপোরেশনসহ সব নির্বাচনে বিএনপি ও রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করুক। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে কি না, সে বিষয়ে যেকোনও রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
বিএনপির মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সবসময় দোদুল্যমানতা থাকে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা কোনও কোনও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আবার কোনও কোনও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ্রগ্রহণ করেনি। এই দোদুল্যমানতাই বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন হয়েছে। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, সেটি নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে। সরকার সবসময় নির্বাচন কমিশনকে ফেসিলেটেড করেছে। সুতরাং এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই বিএনপিরর জন্য ভালো। নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হয়নি। বিএনপির নির্বাচন বিমুখতা গণতন্ত্র বিমুখতার সামিল।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে তথ্য অধিদপ্তরকে ফ্যাক্টচেকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোন সংবাদটি সঠিক, কোনটি সঠিক না, সেটি তারা পরীক্ষা করবে। এ ধরনের সংবাদ যদি কেউ পোস্ট করে, তাহলে সেই দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হবে, এই সংবাদটি সঠিক না, সেটি তাদের নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে সেই ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনও ব্যবস্থা আমরা নিইনি। তার মানেটা এই যে আমাদের দেশের গণমাধ্যম পার্শ্ববর্তী ভারতের সঙ্গে অনেকে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে বিবিসির কার্যালয়ে কয়েকদিন ধরে তল্লাশি করা হয়েছে ট্যাক্স অফিসের মাধ্যমে। আমাদের দেশে কোনও পত্রিকা অফিসে তো ট্যাক্স অফিস যায়নি।
ভোক্তা অধিকারের তৎপরতার জন্য এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি রমজানেই আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এবারেই সেই তৎপরতা ছিল। কিন্তু সরকারের নানামুখী তৎপরতার কারণে কোনও কোনও পণ্যমূল্য কমেছে। মুরগির দামে যেমন অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটি কমেছে। এতে প্রমাণিত হয়, যদি আমরা ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে পারি, তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পারি, তাহলে পণ্যমূল্য যখন-তখন অহেতুক বাড়ার কোনও সুযোগ নেই। ভোক্তা অধিকারই না, এফবিসিসিআইও সোচ্চার হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় পণ্যের সংকট আছে। কোনও কোনও বিপণিবিতানে এক লিটারের বেশি ভোজ্যতেল কিনতে দেওয়া হয়নি। ছয়টি কিংবা ১২টির বেশি ডিম কিনতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে দেখা গেছে, কেনার জন্য একই পরিবারের পাঁচজন মার্কেটে গেছেন। সেখানে পণ্যের সংকট আছে। যেটি আমাদের দেশে নেই।
Posted ১১:০৫ | সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain