নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
বর্তমান বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের দেশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন। বলেন, আজকের বাংলাদেশে ধনী সবচাইতে ধনী আর গরিব সবচাইতে গরিব।
আজ দুপুরে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় ড.মোশাররফ এসব কথা বলে।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে হত্যা ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে “বিনা বিচারে হত্যা-গুম ও নির্যাতন, আর কতকাল সইবে বাংলাদেশ” শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নওগাঁ সরকারি কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকার স্বেচ্ছাচার ও স্বৈরাচার। স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণ সকল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের কি দোষ? দেশেতো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে।
ড.মোশাররফ বলেন, সরকার সকল দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে তারা আজ দিশেহারা। এজন্য বুঝতে পারছে না কখন কি করতে হবে। এ সরকারের অধীনস্থ যে কর্মকর্তারা তারাও কিন্তু অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা। এ অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের হুকুমে তারা যে অন্যায়গুলো করেছে, ভবিষ্যতে তাদেরকে তো জবাবদিহি করতে হবে। এ জন্য তারাও নার্ভাস। এই সরকারের নির্দেশে র্যাব গুম করেছে ৬০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে। হত্যা করেছে হাজারের বেশি। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার কোন অভাব নেই।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের দেশে এমন কিছু হয়েছে, যার কারণে আমেরিকা স্যাংশন দিতে বাধ্য হয়েছে। র্যাবের উপর স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। তবুও র্যাব কী পরিমাণ বেপরোয়া হয়ে জেসমিনকে রিমাণ্ডে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোট অধিকার কেঁড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ বঞ্চিত। এদেশে শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন গুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
ড.মোশাররফ বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। কি প্রত্যাশা ছিল? প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনভাবে বসবাস করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সাম্যের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ এমন অবস্থা, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য। ধনী সবচাইতে ধনী আর গরিব সবচাইতে গরিব।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।
Posted ১০:১৭ | রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain