নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে। এইবার আর পার পাবেন না। পার পাবার কোনো পথ নেই।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতো যাই করুক তাদের পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
দুদু বলেন, খায়রুল কবির খোকন ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক। বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এরকম একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করা মানে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহকে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকেপ পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদতে তারা সালেহর কোমরে দড়ি বাঁধেনি, বেঁধেছে গণতন্ত্রের কোমরে। স্বাধীনতার কোমরে দড়ি বেঁধেছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত। তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের অনুসারীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি বলেছেন- বিএনপির গণতন্ত্রের ইলেকশনের বাইরে কি কোনো পথ আছে। আমি বলব- ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা যে সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন এটা এক মিনিটের মধ্যে ঠিক করা যায়। বন্দুক বিএনপির দিকে ঘোরাবেন না। নিজের দিকে ঘোরান, তাহলে বুঝতে পারবেন সংবিধান কীভাবে ধ্বংস করেছেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়াম্যান বলেন, আর কিছুদিন পরেই দেশের নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমেই গিয়েছে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলেছি। নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারকে পতন ঘটাতে চাই। কিন্তু সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান এই স্বপ্ন বাদ দেন। আগামী দিনের সরকার হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের সরকার। সেটা বিএনপি সরকার। নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আওয়ামী লীগ বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে সে টাকা ফেরত আনতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আর সেই জন্যেই আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে।
মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম প্রমুখসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
Posted ০৮:০২ | সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain