নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আগামীতে জোর করে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হবে না। জনগণ আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেবে না।
দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে যদি থাকতে চান তাহলে ইহকাল গেছে পরকালও গেছে। যদি পরকালকে বাঁচাতে চান আসেন রাস্তায় নামি। এই সরকারের পতন ছাড়া বিএনপির থামবে না।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক মঞ্চ।
আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে সারাদেশের জনগণ একদিকে আর আওয়ামী লীগ একদিকে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে থাকবে এটা কি বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে নাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ঠিক করবে?
তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভোটের আগে দেশে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আরেক দেশের গোলামি করার জন্য না। দেশের মানুষ আজ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের কথা আমরা একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এই সরকারের বাইরে কেউ কথা বলতে পারবে না এটাই নাকি গণতন্ত্র। ভারতের সাথে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ না থাকলেও হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সব জায়গায় মুখ বন্ধ এটাই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আগামী নির্বাচনে বিদেশিদেরকে ধোকা দেওয়া যাবে না আর বাংলাদেশিদেরকে তো দেওয়াই যাবে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়নি। খারাপ হয়েছে তখনই যখন এদেশের অর্থ সব লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলে মায়া কান্না করে এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ আরামে নাই আরামে আছে আওয়ামী লীগ যারা দেশের টাকার লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন— গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, মামুন হাসান, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি আসাদুর রহমান খান প্রমুখ।
Posted ০৯:৪৮ | রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain