নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
শক্তিশালী ভূমিকম্পে সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া সেই শিশুকন্যাকে দত্তক নিতে আবেদনের হিড়িক পড়েছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার আবেদন পড়েছে তাকে দত্তক নিতে।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পোর জিনদায়ার্স শহরে ধ্বংসস্তূপে জন্ম হয় তার। তাকে বলা হচ্ছে ‘মিরাকল বেবি’। তার নাম রাখা হয়েছে আয়া, যার অর্থ নিদর্শন।
ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বাবা, মাসহ তিন ভাইবোনের মৃত্যু হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় আয়া।
সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দেখাশোনা করা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানিফ মারুফ জানিয়েছেন, “সোমবার তার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল। তবে তার অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।
আয়াকে উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, সদ্য জন্ম নেওয়া একটি শিশুকে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন একজন উদ্ধারকর্মী।
খলিল আল-সুওয়াদি, তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়, যিনি তাকে নিরাপদে টেনে নেওয়ার সময় সেখানে ছিলেন এবং তাকে সিরিয়ার আফরিনে ড. মারুফের কাছে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুধু তুরস্কেই নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহত হয়েছে তিন হাজার ৩৭৭।
সে হিসেবে দুই দেশ মিলে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের পর দুই দেশের কবলিত এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়া কয়েক হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ। আটকে পড়া অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। দুই দেশেই উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সূত্র: বিবিসি
Posted ০৫:৪০ | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain