নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্ঠা করেছিল। কিন্তু পুরো ঢাকা শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তাদের পক্ষে বিশৃঙ্খলা করা সম্ভব হয়নি।
আজ(৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়স্থ নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াত ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর ধৈর্যের কারণে তারা তাদের পরিকল্পিত সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা বড়জোড় ৫০/৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ। তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরণের কথা বলবেন, সেটি আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই। তাদের রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। অর্থাৎ দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটি কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরী করার উদ্দেশ্যেই তারা নানাধরণের কর্মসূচি দিয়েছে। সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের উপস্থিতি যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি।
বিএনপি আবার ২০১২/১৩ সালের রাজনীতির দিকে যাচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরী করা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর সারাদেশ কিভাবে উল্লসিত ছিল। সবাই পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এমনকি পাকিস্তানও অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। মেট্টোরেল উদ্বোধনের পর ঢাকা শহরের মানুষের মধ্যে যে উচ্ছাস, সেই মেট্টোরেল নিয়েও বিএনপি ধুম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালিয়েছিল। মানুষের উচ্ছাসে তাদের সেই অপচেষ্টাও ভেস্তে গেছে।
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে আবারো এক নম্বর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে বিএনপির নাশকতা প্রতিরোধের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো নম্বর সেটা কোনো বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে যখনই যে দায়িত্ব দিয়েছেন তখনই সে দায়িত্ব আমি পালন করেছি। আমি ১০ বছর দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, সাতবছর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, গত তিন বছর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। এসব দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আবারো আমাকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে নিজেকে উজাড় করে দলের জন্য কাজ করা
Posted ০৯:৫৭ | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain