বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশবাসী এখন এতোটাই বিপদজনক অবস্থায় আছে যে ব্যাখ্যা করা মুশকিল। অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি সবদিক থেকে আমাদের দেশটা নিশানাহারা দেশের পর্যায় চলে গেছে। এ দেশকে রক্ষা করতে হলে শুধু বিএনপি নয়, ছোট-বড় সব দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে। তবেই দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্যে বিভিন্নভাবে উপহাস করেন। তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘টেমস নদীর পাড়ে বসে কি আন্দোলন হবে?’ আমি বলতে চাই, টেমস নদীর পাড়ে বসে যদি আন্দোলন না হয় তাহলে পাকিস্তানের কারাগারে বসে কি মুক্তিযুদ্ধ হয়?
তিনি বলেন, এদেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে, এটা ছাগল-গরু-গাধাও বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানিদের আমরা হানাদার বলি, নৃশংস বলি- আসলে তারা তা-ই ছিলো। কিন্তু তারা সত্তরের নির্বাচন সুষ্ঠু করেছিল। যদিও ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু করেছিলেন। আর এ সরকার তো নির্বাচনই সুষ্ঠু করছে না, ক্ষমতা তো পরের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা ডাকলেই সবাই নির্বাচনে যাবে এটা ভুলে যেতে হবে। আমরা তাদের সম্মানজনকভাবে বিদায় দিতে চাই। আমরা এরশাদকে বলেছিলাম, ভালোভাবে ক্ষমতা ছাড়েন, তিনি বিদায় নেননি। পরে তাকে খুব অপদস্ত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে দুদু বলেন, যেভাবেই হোক আপনারা ক্ষমতায় আছেন। আপনাদের কাছে আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই। তবে পদত্যাগ করলে ভালো করবেন। আগামী নির্বাচন আপনাদের অধীনে হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আগামী নির্বাচন হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে।
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মুসলিম লীগের মহাসচিব আবুল খায়ের, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও মুক্তার আখন্দ প্রমুখ।
