| বুধবার, ১১ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন না হতেই আদালত বিব্রত বোধ করলেন।
বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন শেষে হওয়া কথা ছিল। কিন্ত ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো.আবদুর রশিদ বিব্রত বোধ করে মামলাটি বিচারের জন্য পুনরায় জেলা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার এরশাদ আদালতে উপস্থিত হননি। তার পক্ষে আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ফৌজদারী আইনের ২০৫ ধারায় হাজিরা দেন।
এর আগে গত ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থন করে রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। মামলার অপর দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সুলতান মাহমুদও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ মামলার আসামি একেএম মুসা শুরু থেকেই পলাতক। মামলাটি তে মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে আদালতে।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন।
জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
Posted ১১:৫৫ | বুধবার, ১১ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin