| রবিবার, ০৮ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
সিলেট, ৮ জুন : সিলেট মেডিকেল কলেজের ছাত্রদল নেতা তাওহীদুল ইসলাম খুনের ঘটনায় ১৫ জন জড়িত। তারা সবাই মিলেই তাওহীদকে নির্মমভাবে পেটায়। এ ঘটনায় অংশ নেয়া সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
রবিবার বিকালে সিলেট মহানগর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন তাওহীদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে।
জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সৌমেন আদালতে বলেন, হত্যার জন্য তাওহীদকে তারা কেউ পেটাননি। তার কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু টাকা চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। না দেওয়ায় বিকালের দিকে তাওহীদুলকে ডেকে ছাত্রাবাসে আনা হয়। ওখানে সবাই মিলে মারধর করি। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যাই।
সৌমেন বলেন, আমরা কেউই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করিনি। তাওহীদুল ইসলামকে পেটানোর সময় ১৫ জন ছিলো। ১৫ জনের সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
উল্লেখ্য, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা তাওহীদকে গত বুধবার মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পরদিন মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের পক্ষে মামলা হয়।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পালানোর সময় সৌমেনকে সিলেট রেলস্টেশন থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
Posted ১৫:২৪ | রবিবার, ০৮ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin