| মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
মোংলা(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরের দূবলার চরে শুটকী মৌসুম জেলেদের ব্যস্ততা শেষে হয়েছে। বনবিভাগের বেঁধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে জেলেদের সমুদ্র সংলগ্ন বনাঞ্চল ছাড়তে হবে। তাই টানা ৫ মাসের শুটকী মৌসুম পার করে এখন বাড়ি-ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যেই জেলেরা বিছিন্ন ভাবে ফিরছেন লোকালয়। তাদের লোকালয় ফেরা ও নিরাপ্তায় সুন্দরবনের নদী-খালের বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ড, র্যাব ও বনবিভাগের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বনকর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন। তিনি জানান-এ বছর মৌসুমে শুটকী কেন্দ্রীক রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা থাকলেও তার চেয়ে বেশি হয়েছে।
এ বছর মৌসুমে ঝড়-জঞ্জল ও দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের দূর্গম এ চরাঞ্চলে বিগতদিনের লোকসান কাটিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবেন বলে আশা করছেন শুটকী নির্ভর উপকুলের জেলেরা। বনবিভাগের পাস-পারমিট ও অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর শীতের শুরুতে সমুদ্র যাত্রা করেন জেলেরা। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দুবলা, আলোরকোল, মেহের আলী সহ আশপাশের ৮/১০টি চরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে সমবেত ও অস্থায়ী বসতি তৈরি করেন । সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরন ও কাটা-বাছা সহ শুটকী প্রক্রিয়াকরনে ব্যস্ত সময় করতে হয় শুটকী মৌসুমী এ জেলেদের। আর এ খাতে প্রতি বছর গড়ে বনবিভাগ ৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে।
Posted ১১:১০ | মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum