| সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ নদীতে মৎস্য আহোরনকারী জেলেদের টাকা ছাড়া প্রত্যয়ন পত্র না দেয়ায় নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ওই ইউনিয়নে নিবদ্ধিত জেলেরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বনবিভাগের জিউধরা ফরেষ্ট ষ্টেশনের আওতাধীন সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে বলে বনবিভাগ। প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহের জন্য জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. রহিম বাচ্চুর দ্বারস্থ হলে তিনি তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রস্তুত করে তার কাছে জমা দিতে বলেন । সে অনুযায়ী ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ নামে প্রত্যয়ন পত্র প্রস্তুত করে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন জেলেরা। চেয়ারম্যান তাদের কাছে প্রতিটি প্রত্যয়ন পত্রের বিনিময় ৫শ টাকা করে উৎকোচ চান এবং টাকা না দিলে প্রত্যায়ন পত্রে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় জেলে আ. বারেক হাওলাদার, রোকন উদ্দিন খান, শুকুর হাওলাদারসহ শতাধিক জেলে নগদ ৫শ টাকা করে উৎকোচ দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহন করেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারা অসহায় দরিদ্র জেলেরা অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও চেয়ারম্যান তাদের প্রত্যায়ন পত্রে স্বাক্ষর করেননি। ফলে প্রায় অর্ধ শত জেলে চেয়ারম্যানকে টাকা দিতে না পেরে স্বাক্ষরবিহীন প্রত্যয়ন নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
টাকা ছাড়া প্রত্যয়ন পত্র না দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ. রহিম বাচ্চুর বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিনিয়র মৎস্য অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভূক্তভোগী জেলেরা ।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রহিম বাচ্চু বলেন, প্রকৃত জেলেদের প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে। যারা প্রকৃত জেলে নয় তাদের প্রত্যয়ন দেয়া হয়নি। অর্থ কিংবা উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ সঠিক না।
Posted ১৫:৪৪ | সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum