
| শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
ধর্ম ডেস্ক: একজন মুসলমান হওয়ার প্রধান শর্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আর একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে নামাজ। শুক্রবার জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে।
যা আমাদের জন্য আল্লাহ এক অন্যতম রহমত। তাই আমাদের মুসলমান হিসাবে জুমার নামায পড়া জরুরি। যারা জুমার নামাজ হতে বিমুখ থেকে অন্য কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। আল্লাহ তালাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকেন।
জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগত সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।
আর এরপর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।
তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।
মহান আল্লাহতায়ালা সবাইকে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করে ভয়াবহ শাস্তি থেকে সবাইকে হেফাজত করুন।
Posted ১২:১২ | শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain