| শুক্রবার, ২১ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট
বিএম. মাহবুব, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি :
অমাবশ্যার জোয়ারের সাথে টানা বর্ষনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ কমপক্ষে উপজেলার ২০ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। আর এর কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে রোপা আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেতের ।
পূর্নিমা কিংবা অমাবশ্যাসহ স্বাভাবিক জোয়ারের দিনে দু’বার ভাসে মোরেলগঞ্জ পৌর শহর। প্লাবিত হয় রাস্তা-ঘাট আর বাজারের অলিগলি। ব্যবসায়ীরা দোকানে হাত-পা গুটিয়ে পানি নেমে যাবার অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতারা কেউবা হাঁটু পানি ভেঙ্গে, কেউবা ভ্যান মটর সাইকেলে ছুটছে। পৌর সদরের বারইখালী পুরাতন থানা ও ফেরিঘাট এলাকায় পানগুছি নদীর স্রোতে আছড়ে পড়ছে রাস্তায় উপরে। হুহু করে লোকালয় ঢুকে পড়ছে পানি। কালাচাঁদ মাজার এলাকার স্লুইজগেট দীর্ঘদিন অকেজো। পৌর বাজারের ড্রেনের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে স্বাভাবিক জোয়োরেও রাস্ত-ঘাট প্লাবিত হয়। ডুবে গেছে উপজেলা প্রশাসন চত্বর, খাদ্য গুদাম এলাকা। পৌর মেয়র এ্যাড.মনিরুল হক তালুকদার জানান, জোয়ারের পানিতে পৌর সভার কার্পেটিং, কাঁচা-পাকা ও ইটসোলিং রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন শহর রক্ষা বাঁধ।
এছাড়াও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার নদীর তীরবর্তী খাউলিয়া, বারইখালী, বহরবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া ,বলইবুনিয়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বারইখালী ইউনিয়নের পানগুছি নদীর তীরবর্তী ফেরিঘাট থেকে কাশ্মীর হয়ে বহরবুনিয়া হয়ে ফুলহাতা পর্যন্ত প্রায় ৬/৭ কিমি. রাস্তার ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল ও টিএম রিপন জানান। জোয়ারের পানিতে রোপা আমন ক্ষেত ডুবে গেছে।
তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার জানান, হেড়মা হরগাতি স্লুইজগেট সংলগ্ন ১কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তাটি প্লাবিত হয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে দেবরাজে ৬ কিলোমিটার ভেরিবাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পঞ্চকরণ বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার বেরিবাঁধ আংশিক ভেঙ্গে পড়েছে।
হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আকরামুজ্জামান জানান, নদীর তীরবর্তী বদনিভাঙ্গা থেকে পাঠামারা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি নর্দীগভে বিলীন হয়েছে। পৌর শহরের সানকিভাঙ্গা খাদ্যগুদাম এলাকার বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে গেছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী জানান, নদীর তীরবর্তী গাবতলা কাঠালতলা ২ গ্রামের ৪০/৫০টি পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রয়োজন ৩ কিমি. বেড়িবাঁধ।
উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভীন জানান, বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানি আরো দীর্ঘ হলে ৬শ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা ও ২শ হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ১৫:০৪ | শুক্রবার, ২১ আগস্ট ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum