| শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট
খুলনা প্রতিনিধি :
খুলনার নূরনগরে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত গোপালগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতার লাশ দাফন করলো খুলনার শরাফপুরের হাফেজ মো: ওয়াহিদুজ্জামান ও তার টিম।
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খুলনার নূরনগরে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার রাজপাট এলাকার মৃত ওয়াহাব আলী শেখের ছেলে মো. সেলিম রেজা (৪৮)। মৃত সেলিম রেজা রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও খুলনা দিঘলিয়া থানার ওসি মঞ্জুর মোর্শেদের ছোট ভাই এবং সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানের নিকটাত্নীয় ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত সেলিম রেজার লাশ দাফন কাফনের জন্য বুধবার রাত ১০ টার দিকে খুলনার দক্ষিণ ডুমুরিয়া ইমাম উলামা পরিষদ ও তাকওয়া ফাউন্ডেশনের খুলনার সমন্ময়কারী হাফেজ মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃতের চাচাত ভাই মো. রনী মিয়া। খবর পেয়ে লাশ দাফনের উদ্যেশ্যে তৎক্ষনাত সদস্যদের প্রস্তুত করে ওই রাতেই টিম নিয়ে গোপালগঞ্জে পৌছে যান তাকওয়া ফাউন্ডেশনের খুলনার সমন্ময়কারী হাফেজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
রাত পোনে ৩ টার দিকে দাফন টীম মৃত সেলিম রেজার রাজপাটের বাড়ীতে পৌছে গোসলের যাবতীয় আয়োজন করে গোসল সম্পন্ন করতে করতেই ফজরের আজান হয়ে যায়। ফলে ফজরের নামাজ শেষে লাশের জানাজা ও দাফনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় দাফন টিমকে।
সকাল সাড়ে ১০ টায় স্হানীয় রাজপাট ডিগ্রী কলেজ মাঠে জানাজা শেষে দুর্গম নদী খালবিল পাড়িদিয়ে নৌকায় করে বিলের মধ্যখানে পৌছে লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফনে অংশগ্রহন করেন দাফন টীমের সমন্ময়কারী হাফেজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মাও. শরীফুল ইসলাম, মো.আব্দুস সোবহান খান, মৌলভী আব্দুল হাই, মো. ওয়াক্কাস আলী, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. ইমাম হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া স্হানীয় কাশিয়ানি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা আওয়া মীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানের পক্ষে স্হানীয় নেতৃবৃন্দ আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম রেজার কফিনে ফুল দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। লক্ষনীয় বিষয় হলো, মৃতের ভাইয়েরা কেউ লাশের ধারে কাছেও যাননি। যে ভাই পুলিশ অফিসার তিনি কবর স্হানের অদুরে আলাদা একটি নৌকায় কিছু সময় অবস্হান করে চলে যান। এমনকি জানাজায় ও তাকে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এমনকি চিকিৎসাধীন অবস্হায়ও তার কোন ভাই বা আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে যান নি। মৃতের চাচাতো ভাই মো. রনী মিয়াই একমাত্র সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা ও কাছাকাছি থেকে খোজ খবর নিয়েছেন। তবে এলাকার সর্ব সাধারণ সারারাত জেগে লাশের গোসলে সহযোগীতা ও দাফনে স্ব উদ্যোগে অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতোই।
তাকওয়া ফাউন্ডেশন খুলনা ও দাফন টীমের সমন্ময়কারী হাফেজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন করতে গিয়ে আমাদের কাছে একেক জায়গায় একেক রকম দৃশ্য নজরে পড়ছে এবং ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হচ্ছে।
কিছু দৃশ্য প্রশংসনীয় আবার কিছু কিছু ঘটনা চরম নিন্দনীয়।
Posted ০৭:৩৯ | শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum