| রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনেয়নের তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার তিন দিন পরে আহত ৪ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছে।
জানাগেছে, গত বুধবার( ৫ ফেব্রæয়ারী) সকাল ৯ টার দিকে তেতুলবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা পুলিশ সদস্য মো. লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. সোহাগ হাওলাদার (৩০) তার বাহিনীর ১২/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় মো. ফারুক খান (৫২), স্ত্রী মোসা. ফরিদা বেগম (৪৮), ছেলে মো. হাইউম খান(২২) ও মেয়ে হিরা আক্তার(১৯) নামে ৪ জন গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডাক্তার তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে হাইউম খানের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে খুলনা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিন্তু হাইউমেরে অবস্থা মুমুর্ষ হওয়ায় তাকে ঢাকা না নিয়ে তাৎক্ষনিক জরুরী ভাবে খুলনা সার্জিক্যাল গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রোববার সকাল ৯ টার দিকে হাইউম মৃত্যু হয়।
সরেজমিন গেলে কথা হয় ঘটনার সময় ঘটনা স্থলের পাশেই মাটি কাটার কাজে থাকা দিন মজুর মো. আল আমীন মীর, কুদ্দুস হাওলাদার,আলম মোল্লা, মিলন ও পলাশ মজুমদারে সঙ্গে তারা জানায়, সোহাগের বাবা একজন পুলিশ, বোন ও বোন জামাই পুলিশ হওয়ায় সুবাদে সোহাগ তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে অপমান অপদস্থসহ মারপিটের শিকার হতে হয়। কয়েক মাস পূর্বে ফারুক খানের বাড়ির সামনের কিছু জমি সোহাগ দখল করে তার কাটা দিয়ে ঘিরে নেয়। এ ঘটনায় ফারুক খান আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা তুলে নেয়ার জন্য ফারুক খানকে সোহাগ একাধিকবার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ৪ ফেব্রæয়ারি মামলায় হাজিরা দিয়ে ৫ ফেব্রæয়ারি সকালে ফারুক খানের ছেলে হাইউম বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে সোহাগ প্রথমে তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে সোহাগ, রাসেল, খলিল খান, আতিকুল খান, সোহাগের স্ত্রী জেসমিন বেগম সহ ১২-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হাইউমকে মারতে শুরু করে। ছেলেকে মারপিট করায় খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য বাবা ফারুক খান, মা ফরিদা বেগম ও বোন হিরা আক্তার ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও মারপিট করে। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এসময় দুটি মোবাইল, একটি ঘড়ি ও হিরার গলায় থাকা ২ ভড়ি ওজনের একটি স্বর্ণের হার নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মো. এমদাদ খানের ছেলে রাসেল খানকে আটক করেছে পুলিশ । থানা ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রাসেল খানকে আটক করা হয়েছে।
Posted ১৭:৪৮ | রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Rafiq Masum