
| সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলছাত্র শুভ কর্মকার। তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা কালুপাড়া গ্রামে।যিনি একটি অত্যাধুনিক রোবট আবিস্কার করে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছেন। যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ তার বাড়িতে ছুটে আসছেন। যে কিনা বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই কথা বলতে পারে।
শুভ কর্মকার ছোট বেলা থেকেই শুভ বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করতো। শুধু অংশই নিতো তা নয়, অনেক সময় সেসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জিতে নিতো। আর এসব কাজে থাকতে থাকতে এক সময় তার মনে হলো, অন্য অনেকের মতো সেও একটা রোবট বানাতে পারে।
তবে তার রোবট হবে গতানুগতিক রোবট থেকে একটু আলাদা। আর সে লক্ষ্য নিয়েই ২০১৮ সালের মে মাসে রোবট তৈরির কাজ শুরু করে, যা প্রাথমিকভাবে শেষ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। রোবটের নাম রাখা হয় রবিন। আমেরিকার একটি কার্টুন শোর সুপার হিরোর নামানুসারে এই নাম দেয়া হয়। এরপর থেকেই রবিনের পরিচিতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীর বাবা সন্তোষ কর্মকার এবং মা দীপ্তি কর্মকার। দুই ভাই-বোনের মধ্যে শুভ বড়। সে সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
শুভ কর্মকার জানায়, তার আবিস্কিত রোবট বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই কথা বলতে পারে। শুধু তাই নয়, রবিন বলতে পারে তার আবিষ্কারক ক্ষুদে বিজ্ঞানীর নামও। এছাড়া রবিন তার দেশ, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির নামসহ যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে অকপটে। এমনকি আশপাশে আগুন লাগলে সে খবরও দিতে পারবে ফায়ার সার্ভিসে।
রোবট আবিষ্কারের ব্যাপারে শুভ কর্মকার বলে, ‘ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এবং ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখেই রোবটটি তৈরি করেছি। একে আরও উন্নত করতে এখন কাজ করছি। বর্তমানে তার দৃষ্টিশক্তি নেই, আগামীতে সে সবাইকে দেখতে পারবে। সেই সাথে কারো সঙ্গে একবার পরিচয় হলে তাকে পরবর্তীতে দেখলে চিনতে পারবে এবং বিভিন্ন সমস্যা নিজে দেখে সমাধান করতে পারবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমার এই রোবট অনেক কিছু নিজে নিজেই শিখতে পারে। এর জন্য কোনো কোডিংয়ের প্রয়োজন হয় না অর্থাৎ কিছুটা সেল্ফ লার্নিং আয়ত্ত করে নিয়েছে।
Posted ১৩:১৪ | সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain