| সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মামলায় আগামী ২৫ অক্টোবর চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস মামলাটির চার্জশিট আমলে নিয়ে চার্জগঠনের শুনানি এ দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জাবালে নূরের ঘাতক বাসের মালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দ (৬০), চালক মাসুম বিল্লাহ (৩০), সহকারী মো. এনায়েত হোসেন (৩৮) ও চালক মো. জোবায়ের সুমন (৩৬) এবং বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও সহকারী মো. আসাদ কাজী (৪৫)। আসামিদের মধ্যে শেষের দুজন পলাতক।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম।
চার্জশিটের ধারাগুলোর মধ্যে ৩০৪ ধারার খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
চার্জশিটে আরও বলা হয়, গত ২৯ জুলাই সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আগারগাঁও তালতলা থেকে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে ঢাকা মেট্টো ব- ১১- ৯২৯৭ বাসটি ছেড়ে আসে এবং ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৬৫৭ বাসটি সকাল ১০টা ৩০টায় এবং ঢাকা মেট্টো-ব ১১-৭৫৮০ বাসটি সকাল ১০টা ৪৫টায় মিরপুর আনসার ক্যাম্প হতে বাড্ডা নতুন বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসগুলো ক্যান্টনমেন্ট থানার ইবি চত্বরে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে একত্রিত হওয়ার পর ঢাকা মেট্টো-ব ১১-৭৫৮০ পেছনে পড়ে যায়। অপর বাস দুটি পাল্লাপাল্লি ও রেশারেশি করে বেশি যাত্রী ও বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালাতে শুরু করে। তারা জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢাল থেকে প্রতিদিনের মতো অপেক্ষমাণ যাত্রী ওঠানোর জন্য রেশারেশি অব্যাহত রাখে। যার কারণে বাস দুটি একে অপরকে চারবার ওভারটেকিং করে।
বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে আসামি মাসুমের চালিত বাস ফ্লাইওভারের ঢালে রেলিং ও ওয়ালের সাথে ঘষা বা আঘাত লাগায়। ওই সময় যাত্রীরা বাসটি সাবধানে চালানোর জন্য ড্রাইভার ও হেলপারদের অনুরোধ ও ডাক চিৎকার করে। তারপরও দ্রুত বেপরোয়া বাস চালানোর জন্য তাতে কেউ গুরুতর যখম ও মারা যেতে পারে তা জেনেও তারা দ্রুত বেপরোয়া গতিতে বাস চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামি জোবায়েরের চালিত ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৭৬৫৭ বাসটি মাসুম বিল্লাহ চালিত ঢাকা মেট্টো- ব ১১-৯২৯৭ বাসটিকে পেছনে ফেলে ফ্লাইওভারের ঢালের সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ডান দিকে রাস্তা ব্লক করে যাত্রী ওঠাতে থাকেন। মুহূর্তের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ চালিত বাসটি ডান দিক দিয়ে যেতে না পেরে স্বেচ্ছায় বাম দিকে দিয়ে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর ১১টা ৩০ ঘটিকার সময় তুলে দেয়।
যার কারণে ১৩/১৪ জন ছাত্র ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। যাদের মধ্যে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এছাড়া এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান চৌধুরী, মেহেদী হাসান জিসান, রাহাত, সজিব, জয়ন্তি, প্রথম বর্ষের ছাত্রী রুবাইয়া, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তৃপ্তাসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।
Posted ১৪:০৮ | সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain