| রবিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান ও ভাঙচুরের দুই মামলায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জনের জামিন দিয়েছে আদালত।
২২ জনের মধ্যে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় ১০ জন ও ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় ছয়জনের জামিন হয়েছে। বাকিদের জামিনের বিষয়ে শুনানি চলছে।
রোববার (১৯ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো ও ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী আসামিদের জামিন দেন।
জামিন পাওয়া ৯ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন বাড্ডা থানার মামলায় জাহিদুল হক, নুর মোহাম্মদ।
বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় জামিন পাওয়া সাতজন হলেন হাসান, খালেদ, রিফাত, রাশেদুল, মুশফিকুর, রেদোয়ান আহমেদ, তরিকুল ইসলাম।
মামলার মোট আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রেদোয়ান আহম্মেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক, হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, সামাদ মর্তুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
এরা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কবীর হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আক্তার হোসেন জুয়েলসহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন।
গত ৬ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা থেকে ওই ২২ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়।
এর পরদিন তাদের আদালতে নিয়ে পুলিশ রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ডে পাঠায়।
রিমান্ড শেষে ৯ আগস্ট তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১২ আগস্ট জামিন চাইলে আদালত ৪ আসামির জামিন না মঞ্জুর করেন। ১৩ আগস্ট ৮ আসামি জামিন চাইলে তারাও জামিন পাননি।
আসামিদের মধ্যে ১৪ জন বাড্ডা থানার এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। সূত্র : সারাবাংলা
Posted ১৩:৪০ | রবিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain