| বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি : চালকের জন্য লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতা পরীক্ষার শর্ত শিথিল করে বিআরটিএর জারি করা সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি এ আদেশ দেন।
রুলে ডিসিটিবিকে পাশ কাটিয়ে লাইসেন্স প্রদানে রিভিউয়ের ক্ষমতা পরিদর্শককে দেয়া-সংক্রান্ত ৩১ ডিসেম্বরের চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, যোগাযোগসচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ আট বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চালকের জন্য লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতা পরীক্ষার শর্ত শিথিল করে ওই সার্কুলার জারি করে। এতে ড্রাইভিং কমপিটেন্সি টেস্ট বোডের্র পরীক্ষার পদ্ধতি পাশ কাটিয়ে একজন পরিদর্শকের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ হয়। যথাযথ যোগ্যতার পরীক্ষা ছাড়াই পেশাদার লাইসেন্স পাওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী রিট আবেদনটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
গত ৩১ ডিসেম্বর বিআরটিএ পেশাদার লাইসেন্স নবায়নের শর্ত শিথিলের এই আদেশ জারি করে। পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আদেশ মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর পরিপন্থী। মোটরযান অধ্যাদেশের ১২(২) ধারা অনুযায়ী, পেশাদার লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রতিবছরই মাঠ পরীক্ষা দিয়ে তা নবায়ন করতে হবে। মাঠ পরীক্ষার মধ্যে গাড়ি চালানো, সংকেত সম্পর্কে ধারণা, শারীরিক সক্ষমতাসহ (দৃষ্টি ও শ্রবণক্ষমতা) নানা ধাপ রয়েছে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। অধ্যাদেশে এই পরীক্ষা মূল্যায়ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত ড্রাইভিং কমপিটেন্সি বোডের্র (ডিসিটিবি) ওপর।
কিন্তু বিআরটিএ এই শর্ত শিথিল করে একজন মোটরযান পরিদর্শককে লাইসেন্স নবায়নের এখতিয়ার দিয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসিটিবির বদলে মোটরযান পরিদর্শককে লাইসেন্স নবায়নের দায়িত্ব দেয়ার অর্থই হলো পরীক্ষা নেয়ার আর দরকার নেই। কারণ, ডিসিটিবিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিআরটিএ, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা আছেন। আর মোটরযান পরিদর্শক একা। তার পক্ষে শ্রমিক ফেডারেশনের চাপ সামলানো সম্ভব নয়।
Posted ১২:১৫ | বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin