
| মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। অবশ্য অস্থায়ী হাটগুলো এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। এখনো গোছগাছের কাজ করছেন ইজারাদাররা। এর মধ্যেই একটি-দুটি ট্রাক এসে থামছে কোরবানির পশু নিয়ে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে হাটগুলো প্রস্তুত হলেও জমে ওঠেনি বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আগামী শুক্রবার থেকে হাট জমতে শুরু করবে।
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে অস্থায়ী ২০টি পশুরহাট বসানোর সিদ্ধান্ত ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। এ পর্যন্ত ১৩টি হাটের ইজারা চ‚ড়ান্ত হয়েছে। ৭টি হাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। গতকাল সোমবার মেরাদিয়া, ধূপখোলাসহ বেশ কয়েকটি অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে গরু-ছাগল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও হাটগুলো এখনো প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। সাধারণত ঈদের আগের চারদিন জমে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। এজন্য প্রস্তুতি চলে কয়েক দিন আগে থেকে। হাটে গরু রাখার জন্য বাঁশ দিয়ে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। অনেক স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে বাজারভুক্ত এলাকা। পশু উঠলেও স্থায়ী হাট গাবতলী ছাড়া অন্য কোথাও বেচাকেনা শুরু হয়নি।
নীলফামারী থেকে ট্রাকভর্তি গরু নিয়ে ধূপখোলা হাটে এসেছেন দুই ব্যবসায়ী। তাদের একজন শফিউদ্দিন মÐল বলেন, ‘আগেভাগেই গরু নিয়ে এলাম। বেশিরভাগ বছরই শেষদিকে গরুর দাম পড়ে যায়। তাই এ বছর শেষ দিকে গরু রাখতে চাই না।’
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীতে এবার ৮টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে দুটি স্থায়ী। হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু আসতে শুরু করেছে। তবে হাটে এখনো ক্রেতাদের আনাগোনা নেই। আগামী শুক্রবার থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর সবচেয়ে বড় সাগরিকা গরু বাজারের ব্যবসায়ী আজগর আলী জানান, রাজশাহী, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা গরু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন।
এবার পশুর দাম কেমন হতে পারে জানতে চাইলে বিবিরহাট বাজারের ইজারাদার মনজুর আলম বলেন, পর্যাপ্ত দেশীয় গরু রয়েছে। দাম খুব বেশি হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, শহরে যারা কোরবানি করেন তাদের অধিকাংশের গরু রাখার জায়গা নেই। ফলে ঈদের একদিন বা দুদিন আগে সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হবে।
বিবিরহাট বাজারের বেপারি মোহাম্মদ সোহেল গাইবান্ধা থেকে দুই ট্রাকভর্তি গরু নিয়ে গত রবিবার চট্টগ্রাম এসেছেন। আগামীকাল বুধবার যাবেন পাবনা। তিনি বলেন, এখনো দেশীয় গরু সংগ্রহ করছি। প্রতিমণ ওজনের গরু ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। ভারত থেকে এখনো গরু আসছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার সীমান্ত খুলবে বলে শুনেছি। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি আছে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আনা শুরু হলে আমিও যাব।’
সূত্র : দৈনিক আমাদের সময়
Posted ১২:১৫ | মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain