| রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরোধিতা সত্ত্বেও আসামের পর পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলটির এক নেতা বলেছেন, যারা এনআরসি থেকে বাদ পড়বেন সেসব সেসব মানুষকে হাতে দু-প্যাকেট খাবার ধরিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবে। তিনি যদি বাংলাদেশিদের ধরে রাখতে চান তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত তার।
ভারতে ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলায় (পশ্চিমবঙ্গে) জাতীয় নাগরিক পঞ্জি কার্যকর করা হবে। সমস্ত বাংলাদেশিদের হাতে দু-প্যাকেট খাবার ধরিয়ে এবং শ্রদ্ধাপূর্বক তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
সুরেন্দ্র সিং শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খারাপ দিন ঘনিয়ে আসছে। তিনি যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চান তবে তার বাংলাদেশেই চলে যাওয়া উচিত। যদি যদি তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান তাহলে ভালোই হবে।’
বিজেপির এই বিধায়ক আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি প্রয়োগ করা হবে। যারা ভারতের নাগরিক হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবেন না তাদের সম্মানজনকভাবে নিজেদের দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন ১৮ লাখ মানুষ।
রামায়ণের উদাহরণ টেনে সুরেন্দ্র সিং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘লঙ্কার (শ্রীলঙ্কা) মানুষ হনুমানকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি তবে তিনি সেখানে চলে যেতে পেরেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে যোগী আদিত্যনাথ এবং অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন। আমরা ওখানে অনেকগুলো আসন পেয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বাংলার রাজনৈতিক রানী লঙ্কিনী। সেখানে রাম নিজের পা রেখেছেন এবং এবার শিগগিরিই সরকারে পরিবর্তন আসবে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসামে এনআরসির ব্যাপক বিরোধিতা করেছেন। তিনি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনোভাবেই এনআরসি করার অনুমতি তিনি দেবেন না।
Posted ১৩:৪০ | রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain