| শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চেয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এডভোকেট সুলতানা কামাল আরো বলেন, যা হচ্ছে এর সাথে জনগণের স্বার্থের কোন সম্পর্ক নেই। জনগণকে জিম্মি করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে নাশকতা চালানো হচ্ছে। ১৮ দলের প্রতি আমাদের প্রশ্ন, কিসের জন্য এই কর্মসূচি, কার স্বার্থে এই কর্মসূচি? জনগণকে বলবো, জনবিচ্ছিন্ন এ অপরাধমূলক কর্মকা- রুখে দাঁড়ান।
খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জনগণ খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, এখন তিনি জনগণকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই এসব কর্মকাণ্ড করছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য বিশেষ গোষ্ঠী নাশকতা চালাচ্ছে।
আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আজও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারি নি, বরং তারা লালিত পালিত হওয়ার কারণেই দেশজুড়ে আজও নাশকতা, সহিংসতা। যতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা না যাবে, ততদিন সমাজ থেকে, রাষ্ট্র থেকে সহিংসতা-নাশকতার রাজনীতি বিতাড়িত হবে না।
বিচারপতি এবাদুল হক বলেন, জনগণের কল্যাণের সাথে দেশব্যাপী যে তা-ব চালানো হচ্ছে তার কোন সম্পর্ক নেই। এই নাশকতা জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। এই তথাকথিত রাজনীতির খেলা চলতে পারে না। তিনি নাশকতাকারীদের শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক রাজনীতিবিদ অজয় রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারি জিয়াউদ্দিন তারেক আলী।
বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নারী নেত্রী শিরিন আখতার, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল ইসলামসহ বিশিষ্টজন।
ঘোষণাপত্রে জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী বোমাবাজদের প্রতিরোধ করার এখনই সময়। বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অবরোধ হরতালের নামে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে ব্যবসাবাণিজ্য অচল ও পঙ্গু করে দিয়ে তালেবানী কায়দায় নাশকতা চালানো হচ্ছে।
দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সুপরিকল্পিতভাবে রেললাইন উপড়ে ফেলে, গণপরিবহন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণ, কোটি কোটি শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস, খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে চরম নৈরাজ্য চলছে। একের পর এক আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে।
এ ঘটনায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। গণসমাবেশ থেকে অবরোধকারী দুর্বৃত্তদের ধিক্কা ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
Posted ১৫:৫৩ | শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin