শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বপ্নরঙিন পথে মডেল নিশা

  |   বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট

nisa 1

পিচ্চি মেয়েটার নাম নিশা। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মেয়েটা স্কুলের সবার প্রিয়। এফএম রেডিওর পোকা এই মেয়েটার পছন্দের স্টেশন হচ্ছে রেডিও আমার। রেডিও আমার শুনতে শুনতে আরজে’দের কাছে  পাঠান নানারকম মেসেজ । আরজে’রাও নিশার মেসেজ প্রচার করে, তার কথা ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলাদেশে। আর এভাবেই আরজেদের সাথে সখ্য গড়ে উঠে নিশার। একসময় নিজেই হয়ে গেলেন আর জে। তারপর মডেল। আর এখন তিনি অপেক্ষা করছেন একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার। চলুন পাঠক জানা যাক মাহমুদা আক্তার নিশার স্বপযাত্রার সেই গল্প।

‘তখন ২০০৯ সাল। আমি পড়ি ক্লাস নাইনে। আমার পছন্দের রেডিও ছিলো রেডিও আমার। রেডিও শুনতে শুনতে কোনো প্রোগ্রাম ভালো লাগলে এসএমএস পাঠাতাম। নিয়মিত এসএমএস পাঠানোর ফলে সব আরজেই আমার নাম জানতো। ২০০৯ সালে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে  এফএম রেডিওগুলোর একটা প্রোগ্রাম হয়। কৌতুহল বশত সেখানে যাই। আর পেয়ে যাই আমার প্রিয় আরজেদের। নাম বলতেই সবাই চিনে ফেলেন। শুধু তাই নয়, একজন এসএমএস বন্ধু রিনির সাথেও পরিচয় হয়ে যায়। ওখানেই পরিচায় হয় পাচ ছয়জন আরজের সাথে। এরপর এফএম রেডিও শোনার মাত্রা বেড়ে যায়। পরিচিত সব আরজেদের প্রোগ্রাম শুনতাম ও মেসেজ পাঠাতাম। একবার রেডিও আমার-এর একটা এসএমএস কনটেস্ট জিতে যাই।ঐ কনটেস্টের শর্ত ছিলো যে জিতবো তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রোগ্রামে।’nisa

আমন্ত্রিত অতিথির পারফরমেন্সে মুগ্ধ হন রেডিও কর্তৃপক্ষ। আর যায় কোথায়?  নিশা পেয়ে গেলেন অতিথি আরজে’র দায়িত্ব। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রেডিও আমার-এর চারটি প্রোগ্রাম চালিয়েছেন নিশা। এরপর পরিক্ষার কারণে বন্ধ রাখতে হয় কাজ। আবার সুযোগ আসে ২০১১ সালে। অনলাইন এফএম রেডিও ‘রেডিও স্বদেশে’ আমন্ত্রণ পেলেন নিশা। এবার আর অতিথি নয়। হয়ে গেলেন স্টাফ আরজে। এ সময় সপ্তাহে ছয়টি প্রোগ্রাম করতেন নিশা। এরমধ্যে আবার নিজের নামেও ছিলো একটি প্রোগ্রাম ‘নিশা লাইফ’। রেডিও স্বদেশে কাজ করার সময় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রচুর স্বাধীনতা দেন। এমনকি, এক সময় নিজের বাড়িতে বসেই প্রোগ্রাম চালিয়েছেন নিশা। কিন্তু বছর খানেক পর আবার বিপত্তি। পরীক্ষা নয়, এবার বিপত্তি ঘটালো অসুস্থতা।

এরপরের গল্প কিন্তু আরজে নিশার নয়, গল্পটা মডেল নিশার। তার আগে নিশা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। পুরো নাম মাহমুদা আক্তার নিশা। জন্ম ঢাকাতেই। গ্রামের বাড়ি ধামরাই। মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বাবা ব্যবসায়ী। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যাপিঠ থেকে এস এসসি পাশ করেন। ভর্তি হয়েছিলেন  মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ-এ। কিন্তু অসুস্থতার জন্য পরিক্ষা দিতে পারেননি। তারপর ভর্তি হন দেশ পলিটেকনিক কলেজে। এখান থেকেই বর্তমানে স্থাপত্যকলায় ডিপ্লোমা করছেন নিশা।

নিশা মডেলিং শুরু করেন ২০১২ সালে। একটা ফ্যাশন হাউজ থেকে অফার করা হলো তাদের পণ্যের মডেল হওয়ার জন্য। কিছুটা আপত্তিসহকারে কাজটা লুফে নিলেন নিশা। আপত্তিটা কি? জানতে চাইলে নিশা বলেন, ‘আমি যথেষ্ট ফ্যাট একটা মেয়ে, ভেবেছিলাম মডেল হিসেবে আমাকে মানাবে কি না? কিন্তু ওরা বললো তোমাকে তো আর র‌্যাম্পে হাটাবো না সমস্যা কি?’ নিশা নিজেকে ফ্যাট মনে করলেও নিশা কিন্তু তেমন ফ্যাট না। তবে একেবারে স্লিম বা জিরো ফিগারও নন।

এর পরপরই ঈদ উপলক্ষে বিনোদনবিচিত্রাসহ আরো দুটি ম্যাগাজিনে কাজ করেন। নিশা বলেন, ‘বিনোদন বিচিত্রায় কাজ করাটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিলো। কেননা এখানে কাজ করার পরই আরো অনেক কাজের অফার পাই। এছাড়া ঐ সময়ে প্রথমবার জনকণ্ঠের মতো জনপ্রিয় দৈনিকের ফ্যাশন পাতায় মডেল হই। জনকণ্ঠে কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও আমার কাছে উল্লেখযোগ্য কারণ এটাই ছিলো কোনো দৈনিকে আমার প্রথম কাজ।’ এরপর রুহুল মাহফুজ জয় পরিচালিত ‘লাইস’ নামের একটি শর্টফিল্মেও অভিনয় করেন। বর্তমান সময়ের অনলাইন রিলেশনশিপ নিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্মটি।

এতসব কাজের ফাকে কিছুদিন নিশাকে বিনোদন সাংবাদিকতাও করতে দেখা গেছে। রিকিয়া মাসুদো সম্পাদিত একটি ম্যাগাজিনের মাধ্যমে তার বিনোদন সাংবাদিকতায় অভিষেক ঘটে। এরপর নতুন সময় নামের একটি মিডডে পত্রিকায় বিনোদন সাব এডিটর হিসেবেও কাজ করেন নিশা। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সাংবাদিকতা ছাড়তে হয় নিশাকে। তবে বিনোদন সাংবাদিকতা নিশার ভালো লাগে। কারণ হিসেবে বলেন, ‘এখানে কাজ করলে প্রিয় তারকাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়, যা অন্য কেউ জানে না। একটা মানুষকে ছোটবেলা থেকে টিভির পর্দায় দেখে আসছি, তার সাথে কথা বলা ও  তার সম্পর্কে জানাটা সত্যিই রোমঞ্চকর একটা ব্যাপার।’

নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা থাকলেও পরিবারের বাধায় করা হচ্ছে না। নিশা বলেন, ‘তাঁরা মডেলিং মেনে নিলেও চান না আমি অভিনয় করি। সত্যি কথা কি, মা-বাবা চান না রাত বিরাতে আমি ঘরের বাইরে থাকি। আবার মা এত ব্যস্ত থাকেন যে তাঁকে নিয়ে শুটিংয়ে যাওয়াও সম্ভব না। ’ তবে মা-বাবাকে ম্যানেজ করার কাজটি ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন নিশা। হয় তো তাদের রাজি করাও সম্ভব হয়ে যাবে অভিনয়ের ব্যাপারে।

আরেকটি খবর না দিলে কিন্তু খুব অন্যায় হয়ে যাবে। নিশা কিন্তু এ পর্যন্ত পাঁচটি সিনেমায় অভিনয়ের অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু করেননি। কেন? নিশা বলেন, ‘যখন অফার পেয়েছিলাম তখন মিডিয়া আরো বাজে অবস্থায় ছিলো। আর সবসময় সততার সাথে চলতে চাই। ভালো ডিরেক্টর যদি কখনো পাই তখন অবশ্যই অভিনয় করবো।’

নিশার দু’চোখে অভিনয়ের স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎ যদি অভিনয় বা তারকা হয়ে ওঠা না হয় তো কি করবেন। হেসে বললেন, ‘আমিতো আর্কিটেক্টে পড়ছি। ভালো একজন আর্কিটেক্ট হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি মনে করি, যে সেক্টরেই কাজ করি না কেন সেটাই ভাল করে করার চেষ্টা করবো।’

জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন মানুষ পছন্দ, এমন প্রশ্নে যতটা লজ্জা পাওয়ার কথা তার চেয়েও বেশি অট্টহাসিতে ঢলে পড়লেন নিশা। বললেন, ‘বিয়ে!! যে আমাকে রেসপেক্ট করবে এবং অনেস্ট থাকবে এমন ছেলেই আমি চাই। তার খুব একটা অর্থসম্পদ না থাকলেও চলবে।’ অর্থ সম্পদ না থাকলে চলবেন কিভাবে? এবার সিরিয়াস ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, ‘আমি ডালভাত খেয়েও চলতে পারবো। তাতে কোনো সমস্যা হবে না।’

নিশার সম্পর্কে আরো একটি সুখবর জানাই। এই বছর থেকে একটি কোম্পানির প্রোডাক্টের গায়ে নিশাকে দেখা যাবে। এমনকি, বিলবোর্ডেও। কোন কোম্পানি কোন প্রোডাক্ট এই মুহূর্তেই জানাতে চান না নিশা। অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।

পিচ্চি মেয়েটার নাম নিশা। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মেয়েটা স্কুলের সবার প্রিয়। এফএম রেডিওর পোকা এই মেয়েটার পছন্দের স্টেশন হচ্ছে রেডিও আমার। রেডিও আমার শুনতে শুনতে আরজে’দের কাছে  পাঠান নানারকম মেসেজ । আরজে’রাও নিশার মেসেজ প্রচার করে, তার কথা ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলাদেশে। আর এভাবেই আরজেদের সাথে সখ্য গড়ে উঠে নিশার। একসময় নিজেই হয়ে গেলেন আর জে। তারপর মডেল। আর এখন তিনি অপেক্ষা করছেন একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার। চলুন পাঠক জানা যাক মাহমুদা আক্তার নিশার স্বপযাত্রার সেই গল্প।

‘তখন ২০০৯ সাল। আমি পড়ি ক্লাস নাইনে। আমার পছন্দের রেডিও ছিলো রেডিও আমার। রেডিও শুনতে শুনতে কোনো প্রোগ্রাম ভালো লাগলে এসএমএস পাঠাতাম। নিয়মিত এসএমএস পাঠানোর ফলে সব আরজেই আমার নাম জানতো। ২০০৯ সালে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে  এফএম রেডিওগুলোর একটা প্রোগ্রাম হয়। কৌতুহল বশত সেখানে যাই। আর পেয়ে যাই আমার প্রিয় আরজেদের। নাম বলতেই সবাই চিনে ফেলেন। শুধু তাই নয়, একজন এসএমএস বন্ধু রিনির সাথেও পরিচয় হয়ে যায়। ওখানেই পরিচায় হয় পাচ ছয়জন আরজের সাথে। এরপর এফএম রেডিও শোনার মাত্রা বেড়ে যায়। পরিচিত সব আরজেদের প্রোগ্রাম শুনতাম ও মেসেজ পাঠাতাম। একবার রেডিও আমার-এর একটা এসএমএস কনটেস্ট জিতে যাই।ঐ কনটেস্টের শর্ত ছিলো যে জিতবো তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রোগ্রামে।’

আমন্ত্রিত অতিথির পারফরমেন্সে মুগ্ধ হন রেডিও কর্তৃপক্ষ। আর যায় কোথায়?  নিশা পেয়ে গেলেন অতিথি আরজে’র দায়িত্ব। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রেডিও আমার-এর চারটি প্রোগ্রাম চালিয়েছেন নিশা। এরপর পরিক্ষার কারণে বন্ধ রাখতে হয় কাজ। আবার সুযোগ আসে ২০১১ সালে। অনলাইন এফএম রেডিও ‘রেডিও স্বদেশে’ আমন্ত্রণ পেলেন নিশা। এবার আর অতিথি নয়। হয়ে গেলেন স্টাফ আরজে। এ সময় সপ্তাহে ছয়টি প্রোগ্রাম করতেন নিশা। এরমধ্যে আবার নিজের নামেও ছিলো একটি প্রোগ্রাম ‘নিশা লাইফ’। রেডিও স্বদেশে কাজ করার সময় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রচুর স্বাধীনতা দেন। এমনকি, এক সময় নিজের বাড়িতে বসেই প্রোগ্রাম চালিয়েছেন নিশা। কিন্তু বছর খানেক পর আবার বিপত্তি। পরীক্ষা নয়, এবার বিপত্তি ঘটালো অসুস্থতা।

এরপরের গল্প কিন্তু আরজে নিশার নয়, গল্পটা মডেল নিশার। তার আগে নিশা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। পুরো নাম মাহমুদা আক্তার নিশা। জন্ম ঢাকাতেই। গ্রামের বাড়ি ধামরাই। মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বাবা ব্যবসায়ী। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আদর্শ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যাপিঠ থেকে এস এসসি পাশ করেন। ভর্তি হয়েছিলেন  মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ-এ। কিন্তু অসুস্থতার জন্য পরিক্ষা দিতে পারেননি। তারপর ভর্তি হন দেশ পলিটেকনিক কলেজে। এখান থেকেই বর্তমানে স্থাপত্যকলায় ডিপ্লোমা করছেন নিশা।

নিশা মডেলিং শুরু করেন ২০১২ সালে। একটা ফ্যাশন হাউজ থেকে অফার করা হলো তাদের পণ্যের মডেল হওয়ার জন্য। কিছুটা আপত্তিসহকারে কাজটা লুফে নিলেন নিশা। আপত্তিটা কি? জানতে চাইলে নিশা বলেন, ‘আমি যথেষ্ট ফ্যাট একটা মেয়ে, ভেবেছিলাম মডেল হিসেবে আমাকে মানাবে কি না? কিন্তু ওরা বললো তোমাকে তো আর র‌্যাম্পে হাটাবো না সমস্যা কি?’ নিশা নিজেকে ফ্যাট মনে করলেও নিশা কিন্তু তেমন ফ্যাট না। তবে একেবারে স্লিম বা জিরো ফিগারও নন।

এর পরপরই ঈদ উপলক্ষে বিনোদনবিচিত্রাসহ আরো দুটি ম্যাগাজিনে কাজ করেন। নিশা বলেন, ‘বিনোদন বিচিত্রায় কাজ করাটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিলো। কেননা এখানে কাজ করার পরই আরো অনেক কাজের অফার পাই। এছাড়া ঐ সময়ে প্রথমবার জনকণ্ঠের মতো জনপ্রিয় দৈনিকের ফ্যাশন পাতায় মডেল হই। জনকণ্ঠে কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও আমার কাছে উল্লেখযোগ্য কারণ এটাই ছিলো কোনো দৈনিকে আমার প্রথম কাজ।’ এরপর রুহুল মাহফুজ জয় পরিচালিত ‘লাইস’ নামের একটি শর্টফিল্মেও অভিনয় করেন। বর্তমান সময়ের অনলাইন রিলেশনশিপ নিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্মটি।

এতসব কাজের ফাকে কিছুদিন নিশাকে বিনোদন সাংবাদিকতাও করতে দেখা গেছে। রিকিয়া মাসুদো সম্পাদিত একটি ম্যাগাজিনের মাধ্যমে তার বিনোদন সাংবাদিকতায় অভিষেক ঘটে। এরপর নতুন সময় নামের একটি মিডডে পত্রিকায় বিনোদন সাব এডিটর হিসেবেও কাজ করেন নিশা। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সাংবাদিকতা ছাড়তে হয় নিশাকে। তবে বিনোদন সাংবাদিকতা নিশার ভালো লাগে। কারণ হিসেবে বলেন, ‘এখানে কাজ করলে প্রিয় তারকাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়, যা অন্য কেউ জানে না। একটা মানুষকে ছোটবেলা থেকে টিভির পর্দায় দেখে আসছি, তার সাথে কথা বলা ও  তার সম্পর্কে জানাটা সত্যিই রোমঞ্চকর একটা ব্যাপার।’

নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা থাকলেও পরিবারের বাধায় করা হচ্ছে না। নিশা বলেন, ‘তাঁরা মডেলিং মেনে নিলেও চান না আমি অভিনয় করি। সত্যি কথা কি, মা-বাবা চান না রাত বিরাতে আমি ঘরের বাইরে থাকি। আবার মা এত ব্যস্ত থাকেন যে তাঁকে নিয়ে শুটিংয়ে যাওয়াও সম্ভব না। ’
তবে মা-বাবাকে ম্যানেজ করার কাজটি ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন নিশা। হয় তো তাদের রাজি করাও সম্ভব হয়ে যাবে অভিনয়ের ব্যাপারে।

আরেকটি খবর না দিলে কিন্তু খুব অন্যায় হয়ে যাবে। নিশা কিন্তু এ পর্যন্ত পাঁচটি সিনেমায় অভিনয়ের অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু করেননি। কেন? নিশা বলেন, ‘যখন অফার পেয়েছিলাম তখন মিডিয়া আরো বাজে অবস্থায় ছিলো। আর সবসময় সততার সাথে চলতে চাই। ভালো ডিরেক্টর যদি কখনো পাই তখন অবশ্যই অভিনয় করবো।’

নিশার দু’চোখে অভিনয়ের স্বপ্ন। কিন্তু হঠাৎ যদি অভিনয় বা তারকা হয়ে ওঠা না হয় তো কি করবেন। হেসে বললেন, ‘আমিতো আর্কিটেক্টে পড়ছি। ভালো একজন আর্কিটেক্ট হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি মনে করি, যে সেক্টরেই কাজ করি না কেন সেটাই ভাল করে করার চেষ্টা করবো।’

জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন মানুষ পছন্দ, এমন প্রশ্নে যতটা লজ্জা পাওয়ার কথা তার চেয়েও বেশি অট্টহাসিতে ঢলে পড়লেন নিশা। বললেন, ‘বিয়ে!! যে আমাকে রেসপেক্ট করবে এবং অনেস্ট থাকবে এমন ছেলেই আমি চাই। তার খুব একটা অর্থসম্পদ না থাকলেও চলবে।’ অর্থ সম্পদ না থাকলে চলবেন কিভাবে? এবার সিরিয়াস ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, ‘আমি ডালভাত খেয়েও চলতে পারবো। তাতে কোনো সমস্যা হবে না।’

নিশার সম্পর্কে আরো একটি সুখবর জানাই। এই বছর থেকে একটি কোম্পানির প্রোডাক্টের গায়ে নিশাকে দেখা যাবে। এমনকি, বিলবোর্ডেও। কোন কোম্পানি কোন প্রোডাক্ট এই মুহূর্তেই জানাতে চান না নিশা। অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।

– See more at: http://news.iportbd.com/entertainment/2014-01-02-00-53-11-11-27906#sthash.ukQeqN5J.dpuf

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৮:৪৯ | বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com