সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈকতে এশিয়ার বৃহৎ প্লাস্টিক স্ট্যাচু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

সৈকতে এশিয়ার বৃহৎ প্লাস্টিক স্ট্যাচু

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিকদূষণ প্রতিরোধ ও  জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নমুনা প্রদর্শনী হিসেবে একটি  প্লাস্টিকে তৈরি দানব সৃষ্টি করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে  দানবটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

 

পর্যটকদের কাছে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে  বিদ্যানন্দ এ স্ট্যাচুটি তৈরি করেছে। এটি তৈরির মূল পরিকল্পনাকারী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী আবির কর্মকার।

 

প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিকগুলোকে তুলে ধরতে বহুদিন ধরেই সচেতনতামূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে দেশের আলোচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশাল আকৃতির একটি ‘প্লাস্টিকের দানব’ তৈরি করেছে সংগঠনটি। বিদ্যানন্দের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, স্ট্যাচুটি এশিয়ার বৃহৎ সামুদ্রিক প্লাস্টিক স্ট্যাচু।

 

প্লাস্টিকের স্ট্যাচু তৈরির মূল পরিকল্পনাকারী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী আবির কর্মকার। এ প্রসঙ্গে আবির বলেন, ‘প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করতে প্রায় ২০ বস্তা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্লাস্টিকগুলো কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। স্ট্যাচুটির উচ্চতা ৩৮ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। আমিসহ প্রায় ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৪ জন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে এই প্লাস্টিক স্ট্যাচুটি তৈরি করছি।

 

মূলত পর্যটকদের কাছে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিদ্যানন্দ এ স্ট্যাচুটি তৈরি করেছে। বিদ্যানন্দের এ কাজে জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্যাচুটি উদ্বোধন করেন।

 

এছাড়া, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক স্ট্যাচু তৈরির আগেই সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ খোলা হয়েছিল। এই দোকানে মানুষ প্লাস্টিকপণ্যের খালি পাত্র, বোতল বা পলিথিন এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন চাল, ডাল, তেল, চিনি ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। এতে স্থানীয়দের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, ঠিক তেমনই কমবে দ্বীপটির পরিবেশ দূষণ।

 

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ‘পড়বো, খেলবো, শিখবো’ স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ‘এক টাকার আহার’-এর মতো আরও নানামুখী উদ্ভাবনী প্রকল্প পরিচালনার মধ্য দিয়ে বিদ্যানন্দ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে।   সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৫৩ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com