নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
পুরুষ ফুটবলে সাফে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জেতাটা স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিল। এরপর জাতীয় বা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে পারেনি। কিন্তু মেয়েরা অহরহ খেলছে এবং একের পর এক শিরোপা জিতছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল। ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকায় ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল। সেখানেও কেউ ছেড়ে কথা বলেনি।
শুটআউটে ১১টি করে গোল হয়। পরে দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। তার পরও ফাইনালে ঘটে যায় লঙ্কাকান্ড; যা ফুটবলে বিরল বলা যায়। ১১টি করে গোল হওয়ার পর ম্যাচ কমিশনারের নির্দেশে শিরোপা নির্ধারণে রেফারি টস করেন। টস জিতে ভারত শিরোপা উৎসবে মেতে ওঠে। কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানায়। কেননা বাইলজে টস নেই। ম্যাচ কমিশনার তার ভুল বুঝে পুনরায় দুই দলকে টাইব্রেকারে আসতে বলেন। ভারত তা না মেনে মাঠ ছেড়ে হোটেলে ফিরে যায়। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর দুই দেশ যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
এবার আর কোনো নাটক বা লঙ্কাকান্ড নয়। অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে বাংলাদেশের মেয়েরা বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে দাপটের সঙ্গে। গতকাল নেপালের কাঠমান্ডু আনফা কমপ্লেক্সে ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে পরাজিত করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগে ভারতকে ৩-১ গোলে হারালেও ফাইনালে পিছিয়ে পড়েছিল সুরভীরা। ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটে ভারতের আনুশকা দেবী গোল করলে লাল-সবুজের শিবির নিস্তেজ হয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টেও প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে সাগরিকার গোলে সমতায় ফেরে। গতকাল বাংলাদেশ যে গোল করবে সে সুযোগই তৈরি করতে পারছিল না। ফরোয়ার্ড লাইনও অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু ৭০ মিনিটে ম্যাচের চেহারা বদলে যায়। গোলের জন্য বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভেঙে চুরমার করে ফেলে। ৭১ মিনিটে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরে। কর্নার থেকে বল পেয়ে মরিয়ম জালে বল পাঠালে স্কোর ১-১ দাঁড়ায়। বাকি সময়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সুরভী আকন্দ, থুইনুই মারমারা বারবার আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে জয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। টাইব্রেকারের নায়ক বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়াজান। সে প্রতিপক্ষের তিনটি শট দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেয়। পুরুষ-নারী মিলিয়ে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ শিরোপা জয়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সাফ গেমসে প্রথম সোনা জিতে। ২০১৪ সালে মেয়েরা অনূর্ধ্ব-১৪ ও ২০২২ সালে জাতীয় দল সাফ এবং এবার নেপালের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েরা প্রথম শিরোপা জিতলো।
Posted ০৬:০৫ | সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain