নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক: সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশটির সাথে সম্পর্ক রক্ষার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। তবে তারা স্পষ্ট করেছে, সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ইসরায়েলের প্রতি মনোভাবই ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার ইরানের সরকারের মুখপাত্র ফাতিমা মোহাজেরানি বলেন, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত এবং জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে ইসরায়েলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেন সালামি ইরানি সংসদে এক বৈঠকে জানান, বর্তমানে কোনো ইরানি বাহিনী সিরিয়ায় অবস্থান করছে না। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আসাদ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত ইরানি বাহিনী সেখানে সক্রিয় ছিল।
আসাদ সরকারের টিকে থাকার জন্য ইরান দীর্ঘদিন ধরে সামরিক পরামর্শ, যোদ্ধা এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে।
ইরান সিরিয়ার ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা সিরিয়ার জনগণের ওপর ‘ইসরায়েলের অপরাধ বন্ধে’ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করবে।
ইসরায়েল গত রবিবার থেকে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে ২৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ হামলায় যুদ্ধবিমান, সামরিক গবেষণা কেন্দ্র এবং অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, সীমান্ত এলাকায় চরমপন্থীদের সম্ভাব্য নিয়ন্ত্রণ রোধ করতেই তারা এই অভিযান চালাচ্ছে।
তেহরানের কূটনৈতিক মিশনে হামলা
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের রাষ্ট্রদূতাবাসে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি চিঠি পাঠিয়েছে তেহরান। ইরান জানায়, হামলাকারীরা রাষ্ট্রদূতাবাসের ভেতরে প্রবেশ করে নথি চুরি ও সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। একইভাবে আলেপ্পোর ইরানি কনস্যুলেটেও হামলা হয়েছে, যেখানে কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
ইরানের দাবি, হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সরাসরি জড়িত থাকলেও, এতে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের প্রমাণও মিলেছে। তবে কোন গোষ্ঠী এর জন্য দায়ী তা এখনো নিশ্চিত করেনি তেহরান।
Posted ০৬:৪৮ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain