| শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোচিত আসন্ন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে আওয়ামী বিরোধী কর্মীদের ধরপাকড় করছে আওয়ামী পুলিশ বাহিনী। এই ধরপাকড়ের মধ্যে অনেক এলাকায় নির্যাতিত বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীরা একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। কিছু কিছু এলাকায় রাজনৈতিক কর্মী না হলেও নিজেরা একত্র হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করেছে। সারা দেশের তেমনি কয়েকটি খবর আমাদের হাতে এসে পৌছেঁছে ।
রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি ঃ গ্রামবাসীর প্রতিরোধ
২৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে এজাহারভুক্ত এক আসামির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পাশ্ববর্তী গ্রামের মসজিদে পুলিশের অভিযানের খবর মাইকিং করা হলে গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এতে পুলিশের টহল টিম দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পাশ্ববর্তী গোপলাবাজার তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের ওপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
অভিযান চলাকালে পুলিশ ও অজানা মানুষের আসার খবর কে বা কারা মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাসা ঘেরাও করে। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দ্রুত স্থান ত্যাগ করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাসায় তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আমাদের মালামাল তছনছ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে পুলিশ চলে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলাম জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন- এমন খবরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া হয়। এ সময় আসামি না পেয়ে আমরা চলে আসি।
ভোটারদের হুমকি দিতে গিয়ে গণপিটুনিতে আঃ লীগ নেতা নিহত
ভোটাররা যেন ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে না যান তা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন কুয়েত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার আহমাদ। কয়েকদিন ধরে অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নে ভোটারদের হুমকি দিতে গেলে গণপিটুনির শিকার হন এই প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা।
এসময় তাকে ফেলে তার সাথে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর নৌকার প্রার্থী ড. মোমেনের বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গা-ঢাকা দিয়েছে বলেও জানায় স্থানীয়রা। বিগত ১০-১২ দিনে যারা সন্ত্রাস চালিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল তাদের অনেককেই আর দেখা না যাওয়ায় সাধারণ ভোটাররা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
ডিবিসি নিউজ সূত্রে জানা যায় , সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম বাহার অর্ক। অন্যদিকে পল্টনে ২২০ টি নির্বাচনী সিলসহ আটক হয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা সেনাবাহিনীর হাতে। আর ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ রাব্বি আটক হয়েছে যৌথবাহিনীর হাতে।
আমাদের নোয়াখালীর স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালী সদর ‘দত্তবাড়ী’এলাকায় আ’লীগের নোয়াইন্ন ইউনিয়নের শীর্ষনেতা জুনায়েত অস্ত্রসহ র্যাব ১১ হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রেসিডেন্টের এলাকা কিশোরগঞ্জ জেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিকে কান ধরে উঠবস করিয়েছে সেনাবাহিনী। লক্ষীপুরের রামগঞ্জে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে বুটের তলায় পিষিয়ে থানায় দিয়েছে সেনারা।
বড়িশালে রিটার্নিং অফিসারকে সেনারা প্রশ্ন করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন নতুন মামলায় কেন বিরোধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তারা আরেক অঞ্চলের লোকদের প্রশ্ন করছেন কেন বিরোধীদের পোস্টার নেই। এখন সেখানেও বিরোধীদের পোষ্টার লেগেছে। চাদঁপুরের হাজিগঞ্জে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী শো ডাউন হয়েছে।.
ইনকিলাব রিপোর্ট করেছে যশোরে বিজিবি আর পুলিশের পাহারায় বিরোধীদের মিছিল হয়েছে। চট্রগ্রামের কয়েকটি আসনে প্রথমবারের মতো বিরোধী ফ্রন্টের প্রার্থীরা গণসংযোগের সুযোগ পেলেন।
Posted ০২:০৯ | শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Mahbub