| রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
সাবান আমাদের ত্বকের ক্ষতি করছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। গোসল করার সময় বা মুখ ধোয়ার সময় আমরা যে সাবান ব্যবহার করে থাকি তা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত মাত্রায় ক্ষতিকারক। এতে এমন কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে তা প্রতিনিয়ত আমাদের ক্ষতি করে। কখনো এই ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হয় আবার কখনো এর প্রভাব আমরা অনেক দিন পর বুঝতে পারি। এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কস্টিক সোডা
সাবানে কস্টিক সোডা বর্তমান যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই জাতীয় কেমিক্যাল সাধারণত পুরোনো রঙের দাগ, জং ইত্যাদি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়। আমাদের ত্বকে অনেকগুলো পর্দা বা পরত থাকে। সবথেকে বাইরের যে পরতটি থাকে যাকে স্ট্রাটাম কর্নেয়াম বলা হয়, এই পর্দা বা লেয়ারটি আমাদের ত্বককে বাইরের যেকোনো রকম ক্ষতিকারক পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিনের ব্যবহৃত সাবান আমাদের ত্বকের এই পর্দাটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফলত আমাদের ত্বক প্রয়োজনীয় নমনীয়তা পায় না ফলত রুক্ষ বা নিস্প্রাণ হয়ে যায়। এছাড়া এটি আমাদের ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। ফলত আমাদের ত্বক সহজেই ক্ষতিকারক ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরে।
প্রতিনিয়ত সাবান ব্যবহার করার ফলে এতে বর্তনাম রাসায়নিকগুলো আমাদের ত্বকে থাকা গুড ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এই গুড ব্যাকটেরিয়া সাধারণত যেকোনো রকম ব্যাড ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। ফলত আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
আমাদের ত্বকের পি.এইচ. এর মাত্রা অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করার ফলে বেড়ে যায়। পিএইচ এর মাত্রা বেড়ে গেলে অ্যাসিড এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে আমাদের ত্বকে নানা ধরণের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সাবানকে সুগন্ধ যুক্ত করে তোলার জন্য যে সমস্ত সিনথেটিক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যেমন ফথ্যালাটেস। এই ধরণের রাসায়নিকের প্রভাবে স্কিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া এর ফলে নানা ধরনের এলার্জি হতে পারে, আবার এর ফলে মাইগ্রেন এবং এস্থেমা জাতীয় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
সাবানে ব্যবহৃত পারাবেন্স আমাদের রক্তে এস্ট্রোজেন এর মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এস্ট্রোজেন এর মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হরমোনের ক্ষরণ অসম হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের মাংসপেশিতে মেদ জমতে শুরু করে। এছাড়া হরমোনের অসম ক্ষরণের ফলে এটি পিউবার্টিকে ত্বরান্বিত করে।
Posted ১৩:৩৬ | রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain