| বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট
বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন, চাকরির বাজারে সে পরিমাণ চাহিদা আছে কি না, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। যারা বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন তাদের অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন না। টেকনিক্যাল শিক্ষা না থাকায় তারা বেকার থেকে যাচ্ছেন। সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য—স্কিলস ফর রেজিলিয়েন্ট ইয়ুথ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বাস করছি। এর আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনো সুযোগ আমরা নিতে পারেনি। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে পরিবর্তিত শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন—এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ, আইএলওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি টুমো পুটিয়ানেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম।
Posted ১৫:৫৮ | বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain