নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার নমনীয় রয়েছে। আপনাদের সমাবেশ করার বিষয়ে সরকার সার্বিক সহযোগিতা করেছে। কোনোভাবে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না।
আজ সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করবে। বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিচ্ছি, কোনো জায়গায় যেন একটা পটকাও না ফাটে না। দেশে সব বড় বড় জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, এখনো হচ্ছে। বিএনপির সুবিধার্থে আমরা সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছি। সেখানে যেতেও বিএনপির এত অনীহা কেন?
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। এদিন সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে হত্যা করে। সেই ১০ ডিসেম্বরকে বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে। কারণ, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখন বিএনপির নেতা। তাদের সঙ্গে আবার নতুন করে সংহতি প্রকাশ করার জন্য এই দিন বেছে নিয়েছে বিএনপি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় না কারণ সেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল। এই উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বিএনপি পাকিস্তানের দোসর। এ কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের সমাবেশ করতে এত অনীহা।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, অভিনেত্রী রোজিনা, তানভিন সুইটি, অরুণা বিশ্বাস এবং শমী কায়সার প্রমুখ।
Posted ১৬:০২ | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain