| বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ৩ এপ্রিল : দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ এবার ৫ বছর বাড়ান হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত বিল ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৪’ পাস হয়। ইতোপূর্বে দুই বছর করে দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলা সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব জমা দিলেও তার অনুপস্থিতির কারণে তা উত্থাপিত হয়নি।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন পাশের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ান হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালে আরও দুই বছর আইনটি বলবত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৭ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সরকার ইতোমধ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির মেয়াদ ৪ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করলে বৈঠকে ৫ বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই আলোকে গত ৩০ মার্চ সংসদে সংশোধিত বিলটি উত্থাপন করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি, ক্ষতিসাধন, সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সম্পত্তি নষ্ট বা ভাঙচুর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়-ভীতি দেখান বা দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার মতো অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারধীন ১ হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
Posted ১৭:৫৩ | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin