নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ : খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। অর্থনৈতিক দূরাবস্থা ও নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রয়োজন। এই জন্য নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অব্যবস্থাপনা, ঘুষ, দুর্নীীত বন্ধ করতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব-এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফয়জুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি আবদুল হক আমিনী, হাজী নূর হোসেন, ডা: আসাদুল্লাহ, খন্দকার সাহাবউদ্দিন আহমদ, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।
বৈঠকে গৃহীত এক প্রস্তাবে ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত পাঠ্য বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নতুন পাঠ্যসূচিতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। সেক্যুলার রূপ দেয়ার জন্য ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বাংলা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বইয়ে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। ৭ম শ্রেণির ইতহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের প্রচ্ছদে ময়ুরের ছবি দেয়া হয়েছে যা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের জাতীয় পাখী। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের জাতীয় পাখীর ছবি ব্যবহার করা যেত। এ বইতে প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে যেসব বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে তা নি¤œ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আর বইয়ে ব্যবহৃত কাগজ ও ছাপার মান নিয়ে প্রশ্নের তো শেষ নেই। নতুন কারিকুলামে বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা সিলেবাসের বইয়ের স্বাতন্ত্রতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
গৃহীত প্রস্তাবে নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার সংকোচনের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সকল বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, আপত্তিকর বিষয়সমূহ সংশোধন করা এবং সিলেবাস প্রণয়ন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ আলেম প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির জোর দাবী জানানো হয়।
Posted ১১:৪৫ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin