নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন :  যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় রাজনীতিবিদ সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করার আহবান জানান।

১১ ডিসেম্বর লন্ডনের আলহুদা একাডেমী মিলনায়তনে খেলাফত মজলিসের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জমিয়তে উলামা ইউরোপের সভাপতি মুফতি শাহ সদরুদ্দিন ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক।

কুরআন তিলাওয়াত ও মজলিস সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্যে দেশকে বিদেশী শক্তির μীড়ণকে পরিণত করেছে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থের চেয়ে নিজ ক্ষমতাকে যে বেশী ভালবাসে তার ক্ষমতায় াকার অধিকার নেই। তিনি বলেন, দেশকে আজ সংঘাতময় অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে এই সরকার। প্রতিটি নাগরিক এখন আতংকের দিয়েছে এই সরকার। প্রতিটি নাগরিক এখন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম ও হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অভিলাষ পূর্ণ হবে না। মানুষের ক্ষোভ আজ অগিড়ব গর্ভ রূপ নিয়েছে।

তিনি বলেন সরকার জনদৃষ্টিকে ভিনড়বখাতে নেয়ার জন্যে হেফাজতকে চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে না দিয়ে শাহবাগে গণজাগরণীদের ডেকে নিয়ে এসেছে। মাহমুদুর রহমানকে বন্দী ও আমার দেশ পত্রিকা সহ দেশপ্রেমিক গণ মাধ্যমকে বন্ধ করে দেশের মানুষকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আল্লাহর রাসূলের সাথে কটাক্ষকারীদের প্রশ্রয় ও উস্কানী দিয়ে সরকার দেশ থেকে মূলত ইসলামকেই নির্মূল করতে চায়।

তিনি খেলাফত মজলিসের শপথ ও সংগ্রামের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মানবরচিত ক্ষমতাকে ব্যক্তি রাষ্ট্রী জীবনের সমাধান না খুঁজে খেলাফতে রাশেদার আদর্শকে আকড়ে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্যক্তিপূজা ও কোটাবী গোষ্টী স্বার্থই আজ দেশ ও ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নফসের দাসত্ব, ব্যাক্তিপূজা ও অন্ধ দলপ্রীতির জাহেলিয়াত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

মুফতি শাহ সদরুদ্দীন বলেন, এই সরকার তার পতনের শেষ সময় অতিμম করছে। জেল জুলুম ভীতি ও বিদেশী চক্রান্তের জাল ছিনড়ব করে দেশ প্রেমিক তাওহীদি জনতাকে শক্ত হাতে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে থাকা মুসলমানদের অধিকার। তাগুতী শক্তি মুসলমানদের সে অধিকার দিতে চায় না। এজন্য খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।

এম, এ মালেক বলেন, এই সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশ এবং ইসলাম কোনটিই এই সরকাবের হাতে নিরাপদ নয়। পুলিশী নিরাপত্তা তুলে নিলে এ সরকার এবং তার দোসররা নির্মম জনরোষের শিকার হবে। কোন ভাবেই ক্ষমতা না ছেড়ে তারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তাই জনতার বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে গণ আন্দোলন অব্যাহত করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামার আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমদ। শিক্ষাবিদ শাহ আলম, কবি ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, ইতালী বিএনপির সভাপতি তাইফুর রহমান, ইসলামিক টিচার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাওলানা ছাদিকুর রহমান, যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক এম সদরুজ্জামান খান, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মিজানুল হক, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবদুল করীম, তারবিয়াহ সম্পাদক মাওলানা আবদুল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা শওকত আলী, আবদুল করীম ওবায়েদ ও কামরুল হাসান খান, মহানগর সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ আল কুরআন রিসার্স ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী মাওলানা নুফাইস আহমদ প্রমুখ।