| রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
এস.এম.আল-আমিন, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এবং পরে ফের বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আন্দোলনকারীদের ছাত্রলীগ ধাওয়া দেয় হয় এবং কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন গ্রন্থাগারের ভেতরে ঢুকে যায়। কয়েকজকে গ্রন্থাগার চত্বর দিয়ে ধাওয়া দিয়ে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটায় ।
পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ব্যানার নিয়ে চলে যায়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিবহন মার্কেট দিয়ে শোডাউন দিয়ে আবারও গ্রন্থাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে ১৫ মিনিট অবস্থানের পর নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউন করে।
পরে আন্দোলনকারীরা আবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনের জন্য সংগঠিত হলে তাদের ফের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড়শ’ জন মানববন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে আমাদের ধাওয়া করা হয়। এসময় আমাদের পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারীকে মারধর করা হয়।’
ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা কাউকে ধাওয়া দেইনি। স্বাভাবিকভাবে ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এর আগে শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোটা সংস্কারের নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাবি’র প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান বাংলা, ‘কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ দুই পক্ষের সঙ্গেই আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসে যেন কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Posted ১৪:২৫ | রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin