| মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি, বার্মিংহাম : গত ৩ মার্চ সোমবার যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহাম বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে বিমানমন্ত্রী বার্মিংহামে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুলেট অফিসে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন ।
তিনি বাংলাদেশকে সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে পর্যটন শি্ল্পে অপার সম্ভাবনার দেশ । সঠিকভাবে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শিল্পে পরিণতে হবে ।তিনি বাংলাদেশের সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্পট ঘুরে দেখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিমানবন্দরে হয়রানি, যানজটসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ প্রেরণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন। প্রবাসীদের সকল সমস্যা সমাধাণে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
উল্লেখ্য বিমানের নতুন রুট ঢাকা থেকে বার্মিংহাম হয়ে নিউইয়র্ক পর্যন্ত চালু হচ্ছে। বার্মিংহাম বিমানবন্দর কর্তপক্ষের সাথে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে নিউইয়র্ক কর্তপক্ষের সাথে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী জুন থেকে ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মতবিনিময় সভায় আওয়ামীলীগের এক নেতার বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হলে এ সময় তাকে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য প্রদানের আহ্বান জানাতে গেলে আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যাক নেতাদের সাথে কতিপয় নাট্যকর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা, তুমুল হট্টগোল এবং হৈচৈ সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে জাসদ নেতা হুমায়ূন কবীর চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় ।
সভার এক পর্যায়ে মন্ত্রীর সফর সঙ্গীর জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে পড়েন অনেকেই ।যারা বসে পড়েন তাদের মধ্যে আবার অনেকেই আমন্ত্রনইও পাননি । একসময় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা সংরক্ষিত আসনগুলোর উদ্ধার করে অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে টেবিলের নিচ দিয়ে এমনকি মন্ত্রীর সোফায় উঠে ছবি তোলার হিড়িক দেখে উপস্থিত অনেককেই লজ্জায় মুখ লুকাতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বার্মিংহাম কনস্যুলেটের সহকারী হাইকমিশনার ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
Posted ১৬:৫৩ | মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin