ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হচ্ছে লাইলাতুল কদর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং বেশি সওয়াব হাসিলের লক্ষ্যে নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার এবং বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এ রজনী অতিবাহিত করছেন।
শবে কদর উপলক্ষে মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শবে কদর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এছাড় সরকারি বেসরকারি সব রেডিও ও টিভি চ্যানেল বিস্তারিত অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করেছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ জোহরের নামাজের পর ওয়াজ করেছেন মাওলানা মোশাররফ হোসেন। এশা ও তারাবির নামাজের পর ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ফজরের পর মিলাদ, দোয়া ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক।
লাইলাতুল কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সমপ্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন।
পবিত্র ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে,হাজার মাসের রাত অপেক্ষা এই রাত উত্তম। অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের এই রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এ কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়।
হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে, ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
For News : news@shadindesh.com
Like this:
Like Loading...
Related