নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মেট্রোরেল প্রকল্পেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি খরচ করা হয়েছে মেট্রোরেল প্রজেক্টে।
আজ (৩১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
প্রিন্স বলেন, ২০০৫ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলেই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকায় স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি) তৈরি করে মেট্রোরেলের নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হলেও, তা মুছে ফেলার অক্লান্ত চেষ্টা করছে প্রতিহিংসা পরায়ণ সরকার। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ওয়েবসাইটে এই মেট্রোরেলের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে সবকিছু বিস্তারিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে দুই দফায় ব্যয় বৃদ্ধি করে ২২ হাজার কোটি থেকে ৩৪ হাজার কোটি টাকা করা ছাড়া বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বড় কোনো অবদান জনগণের সামনে প্রতিভাত নয়। কারণ ২০০৫ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে মেট্রোরেলের প্রাথমিক যে কাজ শুরু হয়েছিল এটা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র।
প্রিন্স বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় থাকতো এটা নির্মাণ হতো সময় ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে, এটা নতুন কিছু নয়। বিশ্বের বহু দেশে মেট্রোরেল আছে। বিশ্বের বহু দেশের মতো বাংলাদেশে এবং প্রতিবেশী ভারতের বড় শহরগুলোতে মেট্রোরেল ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধান সহযোগীর ভূমিকা নিয়েছে জাপান।
সরকারের দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের কারণেই প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মেট্রোরেলে বেশি ব্যয় দেখানো হচ্ছে অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, একইসঙ্গে এর ভাড়াও অনেক বেশি ধরা হয়েছে। কলকাতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। সরকারকে এই লুটপাট ও দুর্নীতির জবাব একদিন দিতে হবে।
Posted ০৯:৪২ | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain